নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার দায়ে অ্যাম্বুলেন্সচালক আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
শনিবার সন্ধ্যায় এই পরোয়ানা জারি করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সাঈদ।
অ্যাম্বুলেন্সচালক আমজাদ উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসকের পরিবর্তে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছিলেন অ্যাম্বুলেন্সচালক আমজাদ। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায়, ব্যক্তিমালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্সচালক আমজাদ স্টেথোস্কোপ লাগিয়ে জরুরি বিভাগে রোগী দেখছেন।
আদালতের আদেশের বরাত দিয়ে ওই আদালতের সাঁটলিপিকার মো. শহিদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আসে। পরে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে আমজাদের চিকিৎসা দেয়ার সত্যতা পায়। বিষয়টি বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ এর ২২ এবং ২৮ ধারায় ফৌজদারি অপরাধ বলে আদেশে উল্লেখ করে আদালত।
শনিবার সন্ধ্যায় আসামির বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অপরাধ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। সেই সঙ্গে আগামী ১৯ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. সুরুজ্জামান বলেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমজাদ একজন রোগী নিয়ে আসেন। এ সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ডা. জামিলা আক্তার এবং তার সহকারী ইয়াসমিন অন্য রোগী নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আমজাদ ওই রোগীর প্রেসার পরীক্ষা করেন। এতে করে আমজাদ নিজেও বিপদে পড়েছেন, হাসপাতালের সম্মানও নষ্ট করেছেন।’
তবে আদালতের কোনো আদেশের বিষয়ে তিনি জানতে পারেননি বলেও জানান তিনি।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি জেনেছি। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’