সব ধরনের শঙ্কা ও গুজবকে মিথ্যা প্রমাণ করে সুন্দর, সুষ্ঠু, আনন্দময় এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এ বছর শারদীয় দূর্গাপূজা সমাপ্ত হয়েছে। সারা দেশে উৎসবমূখর পরিবেশে দূর্গাপূজা উদযাপন করতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে সম্প্রতি বাংলাদেশ।
কয়েকটি ধর্মের নেতাদের সমন্বয়ে গড়ে সংগঠন সম্প্রীতি বাংলাদেশ গত ২৫ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা পালনে সব ধর্মের এবং সর্বস্তরের মানুষকে সক্রিয় ও সবল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার, প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর উপর দায়িত্ব ছেড়ে না দিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে লালিত সচেতন বাঙালিকে এগিয়ে আসতে হবে। গড়ে তুলতে হবে অসাম্প্রদায়িকতার দৃঢ় ঐক্য। বিনষ্ট করতে হবে ধর্মান্ধ, উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক জঙ্গী গোষ্ঠির সকল ষড়যন্ত্র এবং কুৎসিত আঘাত।
দেশে সব ধর্মের মানুষের মধ্যে যে সম্পর্ক সেটি ধরে রাখার আহ্বান জানানো হয় সে বিবৃতিতে।
আগামীকাল রোববার দিনটিকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও পবিত্র দিন উল্লেখ করে সম্প্রতি বাংলাদেশ বলে, এই দিনে একই সাথে উদযাপিত হবে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী, বৌদ্দ ধর্মাবলম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমা এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কোজাগরী লক্ষী পূজা। যথাযথ সম্মান জানিয়ে দিনটি পালনের আহ্বান জানায় সম্প্রীতি বাংলাদেশ।
বিবৃতিতে সম্প্রীতি বাংলাদেশ ’ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ প্রধানমন্ত্রীর এই অসাম্প্রদায়িক ঘোষণার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কার্যকরী ভূমিকাকে সাধুবাদ জানায়।
এই বছরের মত সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে শুভবাদী মানুষের ঐক্য যেন ভবিষ্যতেও অটুট থাকে এটাও কামনা করে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলসহ বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আরও আছেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, ডাকসুর প্রথম মহিলা ভিপি মাহফুজা খানম, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার, ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব এ কে এম আতিকুর রহমান, সাবেক সচিব নাসির উদ্দিন আহম্মেদ, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান খান।
আরও আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামূল হক ভুইয়া, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক হারুন অর রশীদ, একুশে পদকপ্রাপ্ত আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ এস এম আব্রাহাম লিংকন, উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহম্মেদ, সাবেক উপাচার্য ড. রশিদ আশকারী,অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বাবু, মেজর জেনারেল জন গোমেজ (অব.), ড. রতন সিদ্দিকী, রেভারেন্ড মার্টিন অধিকারী, উপাচার্য অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন মাতিন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শরীফ শাহাবুদ্দিন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শোয়েব চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আলি হাবিব,উপাচার্য অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর, অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ূয়া, উপাচার্য ড. মো. নাসিম আখতার, উপাচার্য ড. মাহমুদ হোসেন, অধ্যাপক নূজহাত চৌধুরী, অধ্যাপক সাদেকা হালিম, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, অধ্যাপক বিধান চন্দ্র দাস (রাবি), অধ্যাপক এ কে এম শাহনাওয়াজ (জাবি)।
অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক, অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন, অধ্যাপক আসাদুজ্জামান চৌধুরী, অধ্যাপক ড. ফরিদুল আলম, অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, অধ্যাপক অসীম সরকার, অধ্যাপক বিমান চন্দ্র বড়ূয়া, অধ্যাপক আব্দুল খালেক (সাতক্ষীরা), অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামানিক (রাবি), অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, সাবেক ছাত্রনেতা মিহির কান্তি ঘোষাল, বিশিষ্ট অভিনয় শিল্পী জয়শ্রী কর জয়া, অধ্যাপক আ.ব.ম ফারুক, সাবেক যুবনেতা ও আইটি বিশেষজ্ঞ মাহবুব জামান, সাবেক যুবনেতা মো. হিলাল উদ্দিন, নিরঞ্জন রায় (কানাডা), বদিউজ্জামান খান নাসিম (যুক্তরাষ্ট্র), মোস্তফা ফরিদ (যুক্তরাষ্ট্র), লোকমান হোসেন (যুক্তরাজ্য), আজিজ আহম্মেদ (যুক্তরাজ্য), দেলোয়ার হোসেন (সুইডেন), নজরুল ইসলাম (অস্ট্রিয়া),বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সুশান্ত ঘোষ (সাতক্ষীরা), অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ মোল্লা (সাতক্ষীরা), মিলন ব্যানার্জী (বাগেরহাট), লিয়াকত হোসেন (বাগেরহাট) এডভোকেট নরেশ মুখার্জী (বগুড়া), আব্দুস সালাম (নাটোর), এম সাইফুল মাবুদ (ঝিনাইদহ), কবি সাজ্জাদ আনসারী (জামালপুর), ডা. হরিপদ রায় (শ্রীমঙ্গল), তপন সেন (রাজশাহী), অধ্যাপক ননী গোপাল সরকার (নেত্রকোণা) সৈয়দা সায়েরা মহসিন (মৌলভীবাজার), অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার (ময়মনসিংহ), বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সুশান্ত ঘোষ (সাতক্ষীরা), মবিনুল হক মবিন (যশোর), অধ্যাপক এ.কে.এম গিয়াস উদ্দিন (কক্সবাজার) প্রমুখ।