বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মহিলা লীগের পদ পেলেন সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক

  •    
  • ৮ অক্টোবর, ২০২২ ১৯:০৬

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অহিদুল আলম বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানি না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

ফরিদপুর জেলা মহিলা লীগের খ কমিটিতে সদস্যপদ পেয়েছেন মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ছকড়িকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাধা রানী ভৌমিক।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে ৫৫ নম্বর সদস্য হিসেবে তার নাম রয়েছে রাধা রানীর।

সরকারি বেতনভুক্ত প্রধান শিক্ষকের রাজনৈতিক দলে পদপ্রাপ্তির খবরে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা- ১৯৭৯ বিধি ২৫ এ উল্লেখ আছে, কোনো সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গ সংগঠনের সদস্য হতে বা কোনোভাবে যুক্ত থাকতে পারবেন না। বাংলাদেশে অথবা বিদেশে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বা কোনো প্রকার সহযোগিতা করতে পারবেন না।

এ ছাড়া জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব পালন করেন সরকারি শিক্ষকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। তাই রাধা রানী ভৌমিকের রাজনৈতিক দলের পদপ্রাপ্তিতে নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

স্থানীয়রা জানান, রাধা রানী ভৌমিক মধুখালীর পৌর এলাকার গাড়াখোলা মহল্লার বাসিন্দা। প্রায় ২০ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন তিনি। সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি শুরু করে পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষিক হয়েছেন।

তবে অভিযোগ রয়েছে, সরকারি বেতনভুক্ত শিক্ষক হয়েও তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। স্কুল ফেলে প্রায় সময়ই রাজনীতির পেছনে সময় দেন তিনি। মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃকের কর্মী হিসেবে ঘুরে বেড়ান বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে।

এসব বিষয়ে রাধা রানী বলেন, ‘আমি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তবে এই পদের জন্য নিজে কোনো আবেদন করিনি।’

সরকারি শিক্ষক হিসেবে চাকরি করে এই পদে থাকা যাবে কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেটি আমার জানা নেই। তবে আমি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে জানতে চাইবো আসলেই এই পদে থেকে রাজনৈতিক দল করা যায় কি-না।’

এ বিষয়ে জেলা মহিলা লীগের সভাপতি মাহমুদা বেগম বলেন, ‘রাধা রানী যখন রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন তখন তার স্কুলটি বেসরকারি ছিল।’

তবে সদ্য গঠিত জেলা মহিলা লীগের কমিটি গঠনের অনেক বছর আগেই স্কুলটি সরকারি হয়েছে উল্লেখ করা হলে মাহমুদা বেগম বলেন, ‘আসলে এটি কেন্দ্র হতে করা হয়েছে।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে না। তবে আমি তো হাইকোর্ট না যে, এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেব।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অহিদুল আলম বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানি না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

এ বিভাগের আরো খবর