দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত কমেছে। এ সময়ে ২৯৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর আগের দিন করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৪৯১ জনের দেহে।
এই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এর আগের দিন করোনায় মৃত্যু হয় পাঁচজনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শনিবার জানায়, এদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ হাজার ১৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৯৯ জনের দেহে। শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ।
টানা ১৪ দিন ধরে করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে থাকায় দেশে করোনার পঞ্চম ঢেউ নিশ্চিত হয়েছে। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শনাক্তের হার টানা দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের নিচে থাকলে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলা যায়। দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরুর পর ১১ আগস্ট প্রথমবারের মতো শনাক্ত হার ৫ শতাংশের নিচে নামে। ওইদিন ৪ হাজার ৮০৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। তার পর থেকে এই হার ওঠানামা করলেও তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়নি।
কিন্তু ৫ সেপ্টেম্বর থেকে বদলে যায় দৃশ্যপট। বাড়তে থাকে করোনা সংক্রমণ। ১৪ দিন ধরে তা ঊর্ধ্বমুখী। মাঝে এক-দুদিন শনাক্তের হার কমলেও তা কখনও ৫-এর নিচে নামেনি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্তদের ১৯৭ জনই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ২০ লাখ ২৯ হাজার ৩১৪ জন।
এই সময়ে করোনায় কারও মৃত্যু না হওয়ায় মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ৩৮০ জনে রয়ে গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৬৯০ জন। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬৯ হাজার ৩৪৪ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে ওই বছরের ৪ অক্টোবর।
গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ তা নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। তারপর চতুর্থ ঢেউ শেষে এখন পঞ্চম ঢেউ চলছে।