রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে থেমে থাকা একটি ট্রেনে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণে জড়িত অভিযোগে স্টেশন এলাকা থেকে পাঁচ তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
গ্রেপ্তার পাঁচ তরুণ হলেন, ২০ বছরের আনোয়ার, ২৫ বছর বয়সী নাজমুল, ২২ বছরের রোমান প্রকাশ কালু, ২৫ বছরের নাঈম ও ২১ বছর বয়সী সুমন।
ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় ঢাকা মেডিক্যালের ফরেনসিক বিভাগের একটি সূত্র।
জানা গেছে, রাতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে তুরাগ কমিউটার নামের ট্রেনে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার বেলা ১২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ভর্তি করা হয় ওই তরুণীকে।
কিশোরীকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া রেলওয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) রিয়াজ মাহামুদ বলেন, ‘আমার দায়িত্ব শুধু ভিকটিমকে নিয়ে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো। এর বাইরে অন্য কিছু আমি বলতে পারব না। আপনারা ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেন।’
শনিবার বিকেলে কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদাউস আহম্মেদ বিশ্বাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাড়ি নেত্রকোণা জেলায়। ওই কিশোরী মা-বাবার সঙ্গে রাগ করে নেত্রকোণা থেকে পালিয়ে ঢাকায় এসেছিল। শুক্রবার রাতে সে নেত্রকোণা থেকে হাওর এক্সপ্রেসে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে আসেন। সেখানে কয়েকজন কিশোরীকে স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের তুরাগ কমিউটার ট্রেনের একটি বগিতে নিয়ে যান।
‘সেখানে ওই কিশোরীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যান। ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইমরান নামে একজন পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’