বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাংবাদিকতায় তোয়াব খান এক আদর্শের নাম

  •    
  • ৮ অক্টোবর, ২০২২ ১৬:৩৯

জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় সাংবাদিক নেতারা বলেন, তোয়াব খান ছিলেন আদর্শ। তার নেতৃত্বে কাজ করা ছিল প্রতিটি সাংবাদিকের জন্যই বড় একটি প্রাপ্তি। সাংবাদিকতায় নতুনত্ব, আধুনিকতা ও সৃষ্টিশীলতা আনয়নে অনন্য দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তোয়াব খানের মতো জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরা।

ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে সততার অনন্য দৃষ্টান্ত তোয়াব খান। সাংবাদিকতা জীবনের দীর্ঘ পথচলায় কখনোই নিজ আদর্শ থেকে বঞ্চিত হননি তিনি। তার বর্ণাঢ্য জীবনও ছিল ঈর্ষণীয়। অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপসহীন ও অবিচল সংগ্রামী ছিলেন তোয়াব খানের মতো সাংবাদিকরা।

নিউজপোর্টাল নিউজবাংলা ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক তোয়াব খান এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজউদ্দিন আহমেদসহ প্রয়াত ১৬ সদস্যের স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার এই স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়।

সাংবাদিক নেতারা বলেন, তোয়াব খান ছিলেন আদর্শ। তার নেতৃত্বে কাজ করা ছিল প্রতিটি সাংবাদিকের জন্যই বড় একটি প্রাপ্তি। সাংবাদিকতায় নতুনত্ব, আধুনিকতা ও সৃষ্টিশীলতা আনয়নে অনন্য দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তোয়াব খানের মতো জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরা।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, ‘সাংবাদিক তোয়াব ভাই সফলভাবে কাজ করেছেন। তিনি কোনো রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হননি। সারাজীবন তিনি শুধু সাংবাদিকতাই করে গেছেন। আর যারা সাংবাদিকতা করতে চান বা লেখালেখি করতে চান তাদেরকে উৎসাহ দিতেন।’

শুভেচ্ছা বক্তব্যে তোয়াব খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, ‘সাংবাদিকতা জীবনে দীর্ঘ সময় তার অধীনে থেকে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। সে সুবাদে তার কাছ থেকে সাংবাদিকতায় অনেক কিছু শিখেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে তার অধীনেই প্রথম সাংবাদিক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, যা আমার জন্য বিশেষ প্রাপ্তি।’

জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক ওবায়দুল কবির স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘তোয়াব খান ছিলেন পরিপূর্ণ পেশাদার একজন সাংবাদিক। তার কাজের মধ্যে রাজনীতির পক্ষপাতিত্ব কখনও স্থান পায়নি। পেশাগত দায়িত্ব পালনে তিনি কারো সঙ্গে কোনোরকম আপস করেননি। আপন মনে সংবাদ নিয়েই কাজ করে গেছেন।’

দৈনিক বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শরীফুজ্জামান পিন্টু বলেন, ‘জীবনের শুরুতে তোয়াব খানের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। সে সুবাদে তাকে কাছ থেকে দেখা ও শেখার সুযোগ হয়েছে। এমনকি সাংবাদিকতায় আদর্শ মানুষটির জীবনের শেষ সময়টাতেও তার সঙ্গে ছিলাম। তিনি ছিলেন আদর্শ। তার নেতৃত্বে কাজ করাটা যেকোনো সাংবাদিকের জন্যই বড় পাওয়া বলে মনে করি।

‘৮৮ বছর বয়সেও তোয়াব খান একটি জাতীয় দৈনিক সম্পাদনার মতো গুরুদায়িত্ব দায়িত্ব পালন করেছেন। পেশার জায়গায় তিনি ছিলেন আদর্শিক, যা সাধারণত অনেকেই মধ্যেই দেখা যায় না।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘তোয়াব খান ছিলেন পরিপূর্ণ পেশাদার একজন সাংবাদিক। তিনি নিউজের চমৎকার সব আইডিয়া দিতেন। আর খবরের পেছনের খবর বের করার চেষ্টা করতেন।’

কবি হাসান হাফিজ বলেন, ‘আদি দৈনিক বাংলায় ১০ মাস, এরপর দৈনিক জনকণ্ঠে সাড়ে সাত বছর তার সঙ্গে কাজ করেছি। এ সময় তার কাছ থেকে সাংবাদিকতা ও লেখালেখিতে অনেক কিছু শিখেছি।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রয়াত রিয়াজ উদ্দিন আহমেদকে নিয়ে স্মৃতিচারণে সিনিয়র সাংবাদিকেরা বলেন, ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার রক্ষার লড়াইয়ে তার যে অবদান তা সাংবাদিক সমাজ মনে রাখবে। দল-মত নির্বিশেষে যেকোনো প্রয়োজনে সাংবাদিকদের পাশে এসে দাঁড়াতেন তিনি। দেশের সাংবাদিকতার এই ক্রান্তিলগ্নে তার মতো শক্তিশালী ও স্বাধীন কণ্ঠস্বর খুব বেশি প্রয়োজন ছিল।

তোয়াব খান ও রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ছাড়াও প্রয়াত গীতিকার কবি ও সম্পাদক কে জি মুস্তাফা, এস এম শওকত হোসেন, রাজা সিরাজ, মো. শামীম মাশরেকী, সৈয়দ আকরাম, খন্দকার আনিছুর রহমান, পীর হাবিবুর রহমান, শামসুল আলম বেলাল, সাগর বিশ্বাস, এ এম মুফাজ্জল, এইচ এম জালাল আহমেদ, আবুল বাশার নূরু, শফিকুল ইসলাম ইউনূস এবং গিয়াস উদ্দিন আহমেদকে নিয়েও স্মৃতিচারণ করেন দেশের সিনিয়র সাংবাদিকেরা।

স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।

এ বিভাগের আরো খবর