‘কারাম উৎসব সমতলে বসবাস করা নৃ-গোষ্ঠীর প্রাণের উচ্ছ্বাস। এ উৎসব বরেন্দ্র অঞ্চলকে মিলন মেলায় পরিণত করে।’
শুক্রবার বিকেলে নওগাঁর সাপাহারে কারাম উৎসবে শামিল হয়ে এ কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
উপজেলার মদনশিং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কারাম উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কারাম উৎসব আয়োজন নিছক বিনোদনের জন্য নয়। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের পাশাপাশি এটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার বিশেষ উদ্যোগ। আগে ছোট আকারে কারাম উৎসব আয়োজন হলেও এখন ব্যাপক পরিসরে হচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের সব নাগরিকের সুষম উন্নয়নে বিশ্বাসী। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতি সরকারের সুদৃষ্টি রয়েছে। তাদের উন্নয়নে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।’
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাক মাদলের তালে নাচ-গান আর পূজা অর্চণার মধ্য দিয়ে সাঁওতাল, ওঁরাও, মুন্ডা, পাহান, মালো, মাতোসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিভিন্ন জাতিসত্ত্বার প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক এই উৎসব উদযাপন করা হয়।
উৎসবে বিভিন্ন উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৮২টি সাংস্কৃতিক দল তাদের নিজস্ব গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে। পরে মন্ত্রী নৃত্যানুষ্ঠানে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভুট্টু পাহান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল খালেক, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান হোসেন মণ্ডল, পোরশার ইউএনও মো. জাকির হোসেন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নরেন চন্দ্র পাহান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামসুল আলম চৌধুরী।