রাজশাহীর বাঘায় মসজিদের ভেতরে নামাজে দাঁড়ানো অবস্থায় এক যুবককে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সুচিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
৩৭ বছর বয়সী আহত আবু ফজল সিদ্দিক তাপস অগ্রণী ব্যাংকের বাজুবাঘা শাখার কর্মচারী এবং উপজেলার উত্তর কলিগ্রামের মরহুম মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের সময় তাপসকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
মামলায় অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম জমজমকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলিগ্রাম জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ছিলেন তাপস। ঈমামের পেছনে ফরজ নামাজ আদায় করার সময় তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম জমজম মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে তাপসকে পেছন থেকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। এতে তাপসের বাম হাতে মারাত্মক জখমের সৃষ্টি হয়।
পরে মসজিদের মুসল্লিরা তাপসকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। কিন্তু আঘাত গুরুতর হওয়ায় রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় রাতেই আহতের ভাই আবু বাশার জমজমের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে শুক্রবার ভোরে ওই গ্রামেরই একটি আম বাগান থেকে জমজমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জমিসংক্রান্ত একটি মামলার সাক্ষী তাপস। এই বিরোধের জেরেই তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান ওসি।