বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদেশে চাকরির নামে মানবপাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

  •    
  • ৭ অক্টোবর, ২০২২ ১৪:৩২

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, চক্রটি দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্রদের বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকরি দেয়ার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারা দালালের মাধ্যমে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যেতে ইচ্ছুক এমন ব্যক্তিদের পাসপোর্ট সংগ্রহ করতো। গত দুই বছরে ৫২১টি পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছে চক্রটি।

ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে মানবপাচারের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় বেশ কিছু পাসপোর্ট, ভুয়া কোর্সের সনদ, ভুয়া মেডিক্যাল সার্টিফিকেট উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন মাহাবুব আল হাসান ও মাহমুদ করিম।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব- ৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন এ সব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘চক্রটি দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্রদের বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকরি দেয়ার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারা দালালের মাধ্যমে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যেতে ইচ্ছুক এমন ব্যক্তিদের পাসপোর্ট সংগ্রহ করতো। গত দুই বছরে ৫২১টি পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছে চক্রটি।

‘এর মধ্যে মধ্যেপ্রাচ্যে যেতে আগ্রহীদের কাছ থেকে দুই থেকে তিন লাখ টাকা করে আদায় করা হতো। যারা ইউরোপে যেতে ইচ্ছুক তাদের কাছ থেকে ছয় থেকে সাত লাখ টাকা নেওয়া হতো।’

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, বিদেশে বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র, ভুয়া মেডিক্যাল সার্টিফিকেটসহ নিজস্ব কম্পিউটারে তৈরি করা বিভিন্ন ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে তাদেরকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে নিশ্চয়তা দিত।

আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, ‘এই চক্রটি বিভিন্ন প্রলোভন দেখালেও বিদেশে পাঠানো হতো না। ভুক্তভোগীদের আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করা হতো। পরে ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরতের জন্য তাগাদা দিলেও টাকা ফেরত দিতেন না। এ ছাড়া গত দুই বছরে পাসপোর্ট এবং অর্থ জমা দেয়া কাউকেই চক্রটি বিদেশে পাঠাতে পারেনি।’

তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার মাহাবুব ২০০০ সাল থেকে সংঘবদ্ধ মানবপাচার ও প্রতারক চক্রের সদস্য। বিভিন্ন কৌশলে প্রতারণা করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা।’

আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, ‘এই চক্রের মাধ্যমে বিদেশে পৌঁছানোর পর বিদেশে অবস্থানরত এজেন্ট দিয়ে তাদেরকে আবার প্রতারিত করা হয়। তাদেরকে কাজের নামে অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে বন্দি করে রাখা হয়। বন্দি করে রেখে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হয়।

‘এ সময় মাহাবুবের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে ভুক্তভোগীদের অপেক্ষা করতে বলে। সে জানায় কিছুদিন পরে কোম্পানি চালু হবে। তখন তারা বেতন ও কাজের সুযোগ পাবেন।’

এই চক্রটির ট্রাভেল এজেন্সি বা রিক্রুটিং এজেন্সি পরিচালনার কোনো লাইসেন্স নেই বলেও জানান র‍্যাবের এ কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর