দ্রোহ ও ভালোবাসার কবি হেলাল হাফিজের ৭৪তম জন্মদিন শুক্রবার। মনে-প্রাণে এখনও চির তরুণ এই কবির শরীরটা ভালো নেই অনেকদিন ধরেই।
চোখ, কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন ৭৪ বছর বয়সী হেলাল হাফিজ। এসব নিয়েই গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি ভর্তি হয়েছিলেন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)।
সেখান থেকে কিছুটা সুস্থ হয়ে ফিরলেও শারীরিক জটিলতায় আবারও কয়েক দফায় তাকে ভর্তি থাকতে হয়েছে রাজধানীর বারডেম হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।
জন্মদিনেও কবি রয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে। সেখান থেকেই নিউজবাংলার সঙ্গে হলো জন্মদিনের শুভেচ্ছা বিনিময়।
এখন কেমন আছেন জানতে চাইলে হেলাল হাফিজ বলেন, ‘আমি তো ভালো নেই, শরীর খারাপ।’
জীবনের ৭৩টি বসন্ত পেরোনোর অনুভূতি জানতে চাইলে অবসন্নতায় ভরা কণ্ঠে ছোট্ট করে বললেন, ‘দোয়া কইরো।’
জন্মদিনে হাসপাতালে তার সঙ্গে কয়েকজন বন্ধুবান্ধবও রয়েছেন বলে জানালেন কবি।
১৯৪৮ সালের এই দিনে নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার বড়তলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হেলাল হাফিজ। শৈশব, কৈশোর ও যৌবন কেটেছে নিজ শহর নেত্রকোণাতেই।
হেলাল হাফিজ ১৯৬৫ সালে নেত্রকোণা দত্ত হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ১৯৬৭ সালে নেত্রকোণা সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন।
কবি হেলাল হাফিজের লেখালেখির শুরুটা ষাটের দশকে। ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানের সময় রচিত ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’ কবিতাটি তাকে খ্যাতি এনে দেয় ।
১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’। এর ২৬ বছর পর ২০১২ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতা একাত্তর’।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ৩৪টি কবিতা নিয়ে ঢাকা ও কলকাতা থেকে প্রকাশ হয় তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’।
জন্মদিনে ভক্ত-পাঠক-শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশ্যে কিছু বলার আছে কি না জানতে চাইলে বলেন ‘ভালোবাসাই ভরসা, সবাইকে ভালোবাসা জানাই।’২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান কবি হেলাল হাফিজ।