বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শাওন হত্যায় আদালতে গেল বিএনপি

  •    
  • ৭ অক্টোবর, ২০২২ ০০:৫১

বাদী সালাহ্ উদ্দিন খান বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে আমি মামলার বাদী হয়েছি। নিহতের পরিবারের সদস্যরা ভয় পেয়ে মামলা করেননি, তারা পরে এ মামলার সঙ্গে যুক্ত হবেন।’

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় যুবদল কর্মী শহীদুল ইসলাম শাওনের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার চেয়ে মুন্সীগঞ্জের আদালতে আবেদন জমা দিয়েছে বিএনপি। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দায়ী করে হত্যা মামলা নিতে এ আবেদন করা হয়।

মুন্সীগঞ্জ আমলী আদালত-১ এর বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার এ বিষয়ে শুনানি ও আদেশের জন্য ১০ অক্টোবর দিন ঠিক করেছেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে এ মামলা বলে দাবি করেছেন বাদী মো. সালাহ্ উদ্দিন খান।

মুন্সীগঞ্জের আমলী আদালতে আবেদন জমা দিয়েছে বিএনপি। ছবি: নিউজবাংলা

গত ২১ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর পুরাতন ফেরীঘাট এলাকায় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এতে সাংবাদিক ও পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। পরদিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান যুবদল কর্মী শহীদুল ইসলাম শাওন। তিনি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে দাবি করে আসছেন স্বজন ও বিএনপি নেতারা। অন্যদিকে পুলিশের দাবি, শাওনের মৃত্যু হয়েছে ইটের আঘাতে।

সংঘর্ষের এ ঘটনায় সদর থানার এসআই মাঈনউদ্দিন ও শ্রমিকলীগ নেতা আব্দুল মালেক বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। এতে বিএনপির দেড় সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

শাওনের মৃত্যুর ঘটনায় এবার পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দায়ী করে বৃহস্পতিবার আদালতে অভিযোগ জমা দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মামলা ও তথ্য সংরক্ষন কর্মকর্তা মো. সালাহ্ উদ্দিন খান। তিনি কেন্দ্রীয় কৃষক দলের নির্বাহী সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

মুন্সীগঞ্জ আমলী আদালতে দেয়া অভিযোগে আসামি করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিনহাজ-উ-ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অর্থ) সুমন দেব, সদর থানার ওসি তারিকুজ্জামানসহ পুলিশের ৯ সদস্যকে। এছাড়াও ৪০-৫০ জন পুলিশ সদস্য ও সরকার দলীয় ২০০-৩০০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে শাওন হত্যায়।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান আল-মামুন বলেন, ‘২১ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের সমাবেশ চলছিল। শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজ-উল-ইসলাম ঢুকে খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমানের ছবি সম্বলিত ব্যানার কেড়ে নেন। তিনি পা দিয়ে ব্যানার মাড়ান এবং পুলিশ নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে। তখন শাওনের কপালের ডান দিকে গুলি করা হয়।’

বাদী সালাহ্ উদ্দিন খান বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে আমি মামলার বাদী হয়েছি। নিহতের পরিবারের সদস্যরা ভয় পেয়ে মামলা করেননি, তারা পরে এ মামলার সঙ্গে যুক্ত হবেন।’

এ বিভাগের আরো খবর