গার্মেন্টস কর্মী আছমা খাতুনের বসবাস আশুলিয়ার জামগড়ার মিয়া বাড়ি এলাকায়। স্বামীহারা সংসারে ৭ বছর বয়সী ছেলে আরাফাতকে নিয়ে তার কাটছিল সময়। গত ২ অক্টোবর শিশু আরাফাত অপহরণের শিকার হয়। আর তার ‘মুক্তিপন হিসেবে’ প্রতিবেশি শফিকুল ইসলামকে বিয়ে করার শর্ত দেয়া হয় আছমাকে।
নিখোঁজের চারদিন পর কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি গোলক মন্ডল এলাকা থেকে র্যাব উদ্ধার করেছে শিশু আরাফাতকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অপহরণকারী শফিকুল ইসলামকে।
বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, স্বামীহারা আছমা খাতুন জামগড়া এলাকার একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। শিশু আরাফাতকে নিয়ে তিনি ভাড়া বাসায় থাকেন। প্রতিবেশি শফিকুল ইসলামের সঙ্গে আছমার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হলেও বিয়ে নিয়ে জটিলতা বাধে। শফিকুলের গ্রামের বাড়িতে আরেক স্ত্রী থাকার কথা জেনে যান আছমা।
বিয়েতে রাজি না হওয়ায় আছমাকে শায়েস্তা করতে ফন্দি আটেন শফিকুল। গত ২ অক্টোবর আছমা পোশাক কারখানায় গেলে সুযোগ বুঝে আরাফাতকে অপহরণ করেন শফিকুল। এরপর মোবাইল ফোনে প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে দেয়া হয় শফিকুলকে বিয়ে করার শর্ত।
আরাফাত অপহরণের পরদিন তার মা আছমা খাতুন আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
শিশু অপহরণের অভিযোগ পেয়ে র্যাব-৪ ছায়াতদন্ত শুরু করে। প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব নিশ্চিত হয় কুড়িগ্রাম জেলায় শফিকুলের বাড়িতে রাখা হয়েছে অপহৃত শিশু আরাফাতকে। পরে অভিযান চালিয়ে শফিকুলকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শিশুকে।
র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অপহৃত শিশুকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। এঘটনায় আটক শফিকুলকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’