ঢাকার সাভারে চিকিৎসক প্রেমিকের বাসায় এসে আত্মহত্যা করেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী। ওই তরুণীর বড় ভাইয়ের করা আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রেমিককে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বৃহস্পতিবার সকালে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার রাতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায় আশুলিয়া থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার ফিরোজ আলম ঢাকার দোহার থানার রাধানগর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে। তিনি আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে কর্মরত।
নুসরাত মিমের বড় ভাই ফেরদৌস আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ফরিদপুরে একটি এনজিওতে চাকরি করি। আমার ছোট বোন সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ইংরেজি সাহিত্যে লেখাপড়া করত। পাশাপাশি সে সাভার সুপার হাসপাতালে নার্সের চাকরি করত।
‘বছর দুয়েক আগে সুপার হাসপাতালে ডিউটি ডাক্তার ফিরোজ আলমের সঙ্গে আমার বোনের পরিচয় হয়। এক সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ৭-৮ মাস আগে ফিরোজ অন্যত্র গোপনে বিয়ে করে। তারপরও সে আমার বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে আসছিল।’
ফেরদৌস আলম আরও বলেন, ‘৪ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে হাসপাতালে ডিউটি শেষ করার পর আমার বোনকে ফোন করে আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় নিজের ভাড়া ফ্ল্যাটে ডেকে নেয় ফিরোজ। পরদিন ৫ অক্টোবর বিকেলে আমার বোনের আত্মহত্যার খবর পেয়ে ছুটে আসি। আমার বোনকে ডেকে এনে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এসআই জাহাঙ্গীর আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফিরোজ তার ভাড়া ফ্ল্যাটে নুসরাতকে রেখে বারান্দায় গিয়ে গোপনে স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। এ সময় ফিরোজের অন্যত্র বিয়ের বিষয়টি জানতে পারেন নুসরাত। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে নুসরাত বারান্দা থেকে কক্ষে এসে ভেতর থেকে বারান্দার দিকের দরজা আটকে দেন। পরে নিজের ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিষয়টি জানালা দিয়ে দেখতে পেয়ে ফিরোজ চিৎকার করতে থাকেন। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি আশুলিয়া থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে।
‘এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাইয়ের করা মামলায় ফিরোজ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাতেই মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’