বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলতে হবে: আ.লীগকে ইসি

  •    
  • ৬ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:৫৮

‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে কোথাও কোথাও নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘন হচ্ছে এবং এ সংক্রান্ত খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে মর্মে নির্বাচন কমিশনের নজরে এসেছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ কোথাও কোথাও নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন, রঙিন পোস্টার মুদ্রণ করে প্রচার করছে এবং পোস্টারে নেতা-নেত্রীর ছবিও ছাপানো হচ্ছে। এছাড়াও রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বিভিন্ন জনসভায় নির্বাচনি প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’

৬১ জেলা পরিষদ ও গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে আচরণবিধি মেনে চলতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। জানানো হয়েছে, যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বে একটি দল বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে দেখা করে নানা অভিযোগ করার পর কমিশনের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়।

বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের নাম উল্লেখ না করে একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।

আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘যে প্রধান দলটির পরিচালনা করেন, তাদের কাছে বার্তা দেয়া হয়ে গেছে যে আপনাদের দলের কোনো সদস্য যাতে আচরণবিধি না ভাঙে, সে জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।’

নির্বাচন কমিশন এই নির্দেশনা পাঠিয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘জ্বি, জ্বি’।

ক্ষমতাসীন দলের সেক্রেটারি বরাবর পাঠানো হয়েছি কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নামটা বললাম না। তবে অলরেডি দেয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। কিছুক্ষণ পরে আপনারা টের পেয়ে যাবেন তারা সতর্ক হয়ে গেছে।’

আলমগীর বলেন, ‘সরকার তো দেশ চালায়। তবে আমরা যেটা বলব সেটা তো তারা সাংবিধানিকভাবে তারা মানতে বাধ্য। সরকারি দায়িত্ব হিসেবে এটা মানতে হবে।'

জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দুই/চারটি জেলা থেকে অভিযোগ আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কড়া নির্দেশ দিয়েছে যদি কেউ আচরণবিধি ভঙ্গ করে, তাদেরকে বলতে হবে আপনারা অতিসত্ত্বর এলাকা ত্যাগ করবেন। এলাকায় থাকতে পারবেন না। এই ভোটে তো তিনি ভোটার না। ভোটার হিসেবে এলাকায় থাকবার সুযোগ নাই।’

তিনি বলেন, ‘শুধু গাইবান্ধা না, যেকোনো ধরনের নির্বাচন থেকে আমরা এ ধরনের অভিযোগ পেয়ে থাকি যে, যারা নির্বাচনের প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না, বিশেষ করে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যারা, তারা প্রচারে আছেন। আবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যিনি থাকেন, তাকে ভয়-ভীতি দেখানো- এ ধরনের অভিযোগ করে থাকেন।

‘সে ব্যাপারে আমাদের কড়া নির্দেশ আমরা লিখিতভাবে দিয়েছি। আগামী শনিবার এ উপলক্ষে আমরা প্রত্যেক জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে আহ্বান করেছি আসার জন্য। সে সময় নির্বাচন সুষ্ঠু-সুন্দর করার জন্য ম্যাসেজটি দেয়া হবে একেবারে সামনাসামনি।

‘যদি কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করে থাকেন, তাহলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং ওনারা যদি করতে ব্যর্থ হন, আর তার কোনো প্রমাণ আমাদের কাছে আসে, তাহলে যে আইন রয়েছে, আমরা কিন্তু সেটি প্রয়োগ করতে পিছপা হবো না।’

নির্বাচন কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালনে গাফিলতি বা অবহেলা করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন কমিশনার আলমগীর।

জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে, সে ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেয় হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশের কাছে রিপোর্ট চেয়েছি। রিপোর্ট পাওয়ার পরে আমরা পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেব।’

কমিশনের বিজ্ঞপ্তি

কমিশনের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আসাদুজ্জামান আরজু স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে আচরণবিধির লঙ্ঘন হলে কঠোর হবে কমিশন।

আগামী ১৭ অক্টোবর দেশের ৬১ জেলা পরিষদে এ ভোট হবে। স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা ভোট দিয়ে নির্বাচন করবেন তাদের প্রতিনিধি।

ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে কোথাও কোথাও নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে এবং এ সংক্রান্ত খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে মর্মে নির্বাচন কমিশনের নজরে এসেছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ কোথাও কোথাও নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন, রঙিন পোস্টার মুদ্রণ করে প্রচার করছে এবং পোস্টারে নেতা-নেত্রীর ছবিও ছাপানো হচ্ছে। এছাড়াও রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বিভিন্ন জনসভায় নির্বাচনি প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’

নির্দেশনা আরও বলা হয়, নির্বাচন কমিশন এসব আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে তদন্তপূর্বক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর