টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড়ে বাসের ধাক্কায় একটি মাইক্রোবাস চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে। এই দুর্ঘটনায় অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন, যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সেতুর পূর্ব পাড়ের গোল চত্বর টোল প্লাজার সামনে বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা স্টেশনের সহকারী স্টেশন কর্মকর্তা আতাউল ইসলাম নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন। আহতদের হাসপাতালে পাঠাচ্ছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে জানা গেছে, সেতুর পূর্ব পাড়ের গোল চত্বর টোল প্লাজার সামনে একটি বাস মাইক্রোটিকে ধাক্কা দিয়ে সড়কেই উল্টে পড়ে। এতে মাইক্রোটি সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে সড়ক বিভাজকের ওপর উঠে যায়।
দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, পাবনার জহিরুল ইসলাম, বগুড়া সদরের জলসিড়িতলার রিফাত আল হাসান, রিফাতের মা মালেকা ভানু রুবি, ছেলে সাজিদ হাসান, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কুতুম্বপুর গ্রামের মাইক্রোবাস চালক দুলাল মিয়া।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। তাৎক্ষণিক হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা একতা পরিবহনের একটি বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। অপর দিকে টাঙ্গাইল থেকে একটি মাইক্রোবাস আসছিল। গোল চত্বর টোল প্লাজার সামনে এলে বাসটি আইল্যান্ড ভেঙে মাইক্রোটিকে ধাক্কায় দেয়।
‘এতে বাস ও মাইক্রোর সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নেয়ার সময় দুইজন এবং হাসপাতালে নেয়ার পর একজন মারা যান।’
বঙ্গবন্ধু সেতু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক আতাউল গণি জানিয়েছেন, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।