বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় আসামিদের রিভিউ আবেদন

  •    
  • ৬ অক্টোবর, ২০২২ ১৪:১২

রিভিউ আবেদনের শুনানির জন্য ১৭ নভেম্বর দিন ঠিক করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি বোরহান উদ্দিন। এ আবেদনের ফলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর স্থগিত হয়ে গেল রিভিউ নিষ্পত্তি পর্যন্ত।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় আপিল বিভাগের রায়কে পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করেছে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবনদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা।

তাদের এ আবেদনের ফলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর স্থগিত হয়ে গেল রিভিউ নিষ্পত্তি পর্যন্ত।

রিভিউ আবেদনের শুনানির জন্য ১৭ নভেম্বর দিন ঠিক করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি বোরহান উদ্দিন। গত মঙ্গলবার তিনি এ আদেশ দেন।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন অধ্যাপক তাহেরের মেয়ে আইনজীবী সাগুফতা তাবাসসুম আহমেদ।

আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান।

মামলা থেকে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। পদোন্নতি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে হত্যার শিকার।

এ মামলায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

এই হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুইজনকে খালাস দেয়।

বিচারিক আদালতে দণ্ডিতরা হলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, অধ্যাপক তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীরের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের সম্বন্ধী আব্দুস সালাম।

খালাসপ্রাপ্ত চার্জশিটভুক্ত দুই আসামি হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী।

২০০৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।

হাইকোর্টে শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয় হাইকোর্ট।

ফাঁসির দণ্ড হাইকোর্টে বহাল থাকা দুই আসামি হলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর।

ফাঁসির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া দুই আসামি হলেন- নাজমুল আলম ও আব্দুস সালাম।

এরপর আসামিরা আপিল বিভাগে আপিল করেন। পাশাপাশি যাবজ্জীবন দণ্ডিত দুই আসামির দণ্ড বৃদ্ধি চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

শুনানি শেষে গত ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে।

১৫ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন আসামিরা।

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, আসামিদের স্বীকারোক্তিগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, হত্যার এই ষড়যন্ত্রে মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনই মুখ্য এবং সক্রিয় ভূমিকা পালন করছিলেন। আমাদের এটা বলতে দ্বিধা নেই, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন শুধু প্রফেসর হিসেবে পদোন্নতি পেতেই ড. তাহেরকে এই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেন। তার ধারণা ছিল, ড. তাহের বেঁচে থাকলে অধ্যাপক হিসেবে তার পদোন্নতি পাওয়া সম্ভব নয়। আমাদের এও বলতে দ্বিধা নেই যে, আপিলকারী জাহাঙ্গীর আলম এবং আবেদনকারী আব্দুস সালাম ও নাজমুল আর্থিক সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার জন্য অধ্যাপক তাহেরকে হত্যার জন্য মহিউদ্দিনের প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর