বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তোয়াব খান ছিলেন বাতিঘর, কুলখানিতে স্মৃতিচারণ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৫ অক্টোবর, ২০২২ ২০:৫৫

অভিনেতা তারিক আনাম খান বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি গর্ব অনুভব করি যে এরকম একটি পরিবারে জন্ম নিয়েছি। তোয়াব খানের মতো মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি। এই পরিবার আমাকে কূপমণ্ডুকতা শেখায়নি, বরং প্রগতিশীলতা, আধুনিকতার দিকে ধাবিত করেছে। পরিবারের কিছু মানুষ থাকে যারা মহীরূহ হয়ে থাকেন, অনুপ্রেরণা দেন। তিনি তেমনই একজন মানুষ ছিলেন, যাকে অনুসরণ করা যায়।’

একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক, নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক তোয়াব খানের কুলখানি হয়েছে বুধবার বাদ আসর।

গুলশানে প্রয়াতের নিজ বাসভবন এষা গার্ডেনে এই কুলখানি হয়। স্মৃতিচারণের আগে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল হয়।

কুলখানিতে পরিবারের সদস্য এবং সাবেক ও বর্তমান সহকর্মীরা তার সঙ্গে নানা স্মৃতির কথা তুলে ধরে স্মৃতিচারণ করেন।

বলেন, চিন্তা ও চেতনায় প্রাগ্রসর মানুষ ছিলেন তোয়াব খান। সব বিষয়ে ছিলেন ঋদ্ধ। তার সঙ্গে যেকোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করলে সমৃদ্ধ হওয়া যেত। তিনি সাংবাদিকতাকে শুধু পেশা হিসেবে নয়, আবেগ ও ভালোবাসার সঙ্গী হিসেবে নিয়েছিলেন। তিনি আজীবন অনুপ্রেরণার উজ্জ্বল বাতিঘর হয়ে থাকবেন।

মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান।

তোয়াব খানের ফুফাতো ভাই অভিনেতা তারিক আনাম খান বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি গর্ব অনুভব করি যে এরকম একটি পরিবারে জন্ম নিয়েছি। তোয়াব খানের মতো মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি। এই পরিবার আমাকে কূপমণ্ডুকতা শেখায়নি, বরং প্রগতিশীলতা, আধুনিকতার দিকে ধাবিত করেছে। পরিবারের কিছু মানুষ থাকে যারা মহীরূহ হয়ে থাকেন, অনুপ্রেরণা দেন। তিনি তেমনই একজন মানুষ ছিলেন, যাকে অনুসরণ করা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকতাকে শুধুমাত্র পেশা হিসেবে নয়, আবেগ ও ভালোবাসার সঙ্গী হিসেবে নিয়েছিলেন তোয়াব খান, যার সঙ্গে যেকোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করলে সমৃদ্ধ হওয়া যেত। প্রায় সকল বিষয়েই তিনি পূর্ণ জ্ঞান রাখতেন। আমাদের পরিবারের জন্য তিনি সবসময় অনুপ্রেরণার উজ্জ্বল বাতিঘর হয়ে থাকবেন। তাকে নিয়ে সবসময় গর্ব অনুভব করব।’

তোয়াব খান নীতিগতভাবে কঠোর মানুষ ছিলেন জানিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক অধ্যাপক মোবাশ্বেরা খানম বলেন, ‘তিনি সবসময় কাজের প্রতি সৎ ছিলেন। স্বল্পভাষী মানুষ ছিলেন। কখনোই মানুষের প্রতি তার দায়িত্ব কর্তব্য থেকে বিচ্যুত হননি। পরিবারের সদস্য হিসেবে এগুলো আমাদের কাছে শিক্ষা হিসেবে থাকবে। নিজেকে খুব কম প্রকাশ করতেন।’

তিনি বলেন, ‘একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে তাকে অনুসরণ করতে পারা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের বিষয় হবে। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত কর্মস্পৃহা দেখিয়েছেন। চিন্তা-চেতনায় প্রাগ্রসর মানুষ ছিলেন। বর্তমানের নৈতিক অবক্ষয়ের সময়ে তিনি ছিলেন আলোকবর্তিকা।’

তোয়াব খানের ভাগনে আজকের পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সেলিম খান বলেন, ‘ব্যক্তি তোয়াব খান ছিলেন নীতিনিষ্ঠ, নিয়মানুগ। জীবনে ও কর্মে ছিলেন অত্যন্ত সজ্জন এবং প্রায় অজাতশত্রু একজন মানুষ, যার চেতনায় সবার ওপরে ছিল বাংলাদেশ।

‘স্বাধীনতার চার মূলমন্ত্রে গভীরভাবে আস্থাশীল ছিলেন। সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তার ভাবনা ও ভালোবাসার গভীরতা প্রতিমুহূর্তে অনুভব করেছেন। এর কারণ তিনি বঙ্গবন্ধুকে খুব কাছ থেকে দেখা ও হারানোর অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন।’

কালের কণ্ঠের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক আলী হাবিব বলেন, ‘তোয়াব খান আমার জীবনে একজন দীক্ষাদাতা পিতা হিসেবে অধিষ্ঠিত আছেন। আজীবন থাকবেন। যতদিন জীবিত থাকব, তাকে অনুসরণ করব।’

দৈনিক বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শরিফুজ্জামান পিন্টু বলেন, ‘তোয়াব খানকে মূল্যায়ন করার মতো অভিজ্ঞতা বা যোগ্যতা কোনোটিই আমার নেই। দৈনিক বাংলায় উনি ছিলেন আমার বটবৃক্ষ। গত এক বছরে যা পেয়েছি তা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া।’

স্মরণসভা সঞ্চালনা করেন তোয়াব খানের ছোটভাই ওবায়দুল কবীর। এসময় মরহুমের নিকটাত্মীয় রুহুল আমিন বক্তব্য রাখেন।

স্মরণসভায় অংশ নেন নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোরের নির্বাহী সম্পাদক হাসান ইমাম রুবেল, ফোকাস বাংলার চেয়ারম্যান ইয়াসীন কবীর জয়, আজকের পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কামরুল হাসান প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর