বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাপানের আকাশে চোখ বিমানের

  •    
  • ৫ অক্টোবর, ২০২২ ১৫:৫২

জাপানের নারিতায় ফ্লাইট চালু করতে কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা চালিয়ে আসছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। ফ্লাইট শুরুর বিষয়ে জাপান সরকারের অনুমোদনও বেশ আগেই পায় রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠানটি।

কানাডার পর জাপানের আকাশে পাখা মেলার পরিকল্পনা সাজাচ্ছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

সম্প্রতি বিদেশি পর্যটকদের জন্য জাপানকে উন্মুক্ত ঘোষণা করায় এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথ খুলছে।

জাপানের নারিতায় ফ্লাইট চালু করতে কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা চালিয়ে আসছিল বিমান। ফ্লাইট শুরুর বিষয়ে জাপান সরকারের অনুমোদনও বেশ আগেই পায় বিমান।

জাপানে ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে বিমানকে ফিফথ ফ্রিডম সুবিধাও দিয়েছে দেশটি। অর্থাৎ ঢাকা ও নারিতার মধ্যবর্তী একটি বিমানবন্দর থেকে যাত্রী নিয়েও এই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা যাবে।

এতদিন তা আটকে ছিল করোনাভাইরাসজনিত বিধিনিষেধের কারণে। করোনার মধ্যে জাপান সরকার দেশটিতে বিদেশি পর্যটকদের আগমনে এতদিন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছিল।

বিমানের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং এশিয়ার অন্য অঞ্চলগুলোর সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগের পথ খুলবে।

এ বিষয়ে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটার ফ্লাইট অপারেশনের কাজগুলো চলছে, তবে এই মুহূর্তে বলতে পারছি না কবে নাগাদ এটা শুরু হবে। এটা আমাদের তালিকার মধ্যে আছে।’

বিমানের আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী জাপান এয়ারের সঙ্গে কোড শেয়ার চুক্তিতে যাওয়ার কথা সংস্থাটির। দুটি এয়ারলাইনসের মধ্যে এ ধরনের চুক্তি থাকলে একজন যাত্রী কোনো একটি এয়ারলাইনসের টিকিট কেটেই অন্য এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে পারেন।

বিশ্বের বিভিন্ন এয়ারলাইনস এ ধরনের চুক্তির ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করলেও এটিই হবে বাংলাদেশের প্রথম উদ্যোগ।

বর্তমানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গন্তব্যে পয়েন্ট টু পয়েন্ট সেবা দিয়ে থাকে বিমান। একসময় অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বিমানের ফ্লাইট চলাচল করলেও এখন সেগুলো বন্ধ।

বিমানের বহরে লম্বা দূরত্বে উড়তে সক্ষম অন্তত ১০টি উড়োজাহাজ থাকলেও রুট না থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সেগুলোর সক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ছয়টি বোয়িং সেভেন এইট সেভেন ও চারটি বোয়িং ট্রিপল সেভেন মডেলের উড়োজাহাজ। এর প্রত্যেকটি টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম।

এতদিন বিমানের লম্বা দূরত্বের ফ্লাইট চালু ছিল শুধু লন্ডন রুটে। টরন্টোতে ফ্লাইট শুরুর পর এটিও যুক্ত হয় লম্বা দূরত্বের রুটের তালিকায়।

ঢাকা থেকে সরাসরি আকাশপথে নারিতা যেতে সময় লাগে প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা। চালু হলে এটিও বিমানের লম্বা দূরত্বের রুট হবে।

টরন্টোতে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করায় ভারত, নেপালসহ আশপাশের বিভিন্ন দেশের যাত্রীদের মধ্যে রুটটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। বিমান আশা করছে নারিতা রুটেও মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার অনেক যাত্রী পাওয়া যাবে।

এ বিভাগের আরো খবর