মোবাইল ফোন হারানো নিয়ে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনসার ও সুইপার সদস্যদের সংঘর্ষে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।
বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ ১টার দিকে শেষ হয় বলে হাসপাতালের পরিচালক চিকিৎসক মো. হাবিবুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মো.শাফায়েত হোসেন জানান, হাসপাতালের এক সুইপারের একটি মোবাইল চুরি হয়। চুরির পর তিনি হাসপাতালের ভেতর থেকে চোর সন্দেহে একজনকে ধরে গেইটে নিয়ে আসেন। এ সময় গেইটে থাকা আনসার সদস্যকে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করেন হরিজন সম্প্রদায়ের সেই সদস্য।
তিনি জানান, এই প্রশ্ন করতেই অভিযুক্তকে আটক না করে ছেড়ে দেন আনসার সদস্য। এতে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মূল ফটকে দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য মারধর শুরু করেন ওই হরিজন সদস্যকে। এরপর তার সঙ্গে যোগ দেন আরও কয়েকজন আনসার সদস্য।
শাফায়েত জানান, মূলফটকে বেধড়ক মারধর শেষে তাকে ধরে ক্যাম্পে নিয়ে যান আনসার সদস্যরা। খবর পেয়ে কিছুক্ষণ পর হরিজন কলোনি থেকে তার স্বজনরা ছুটে আসেন। এক পর্যায়ে শুরু হয় সংঘর্ষ।
হাসপাতালের পরিচালক হাবিবুর রহমান জানান, এক পর্যায়ে আনসার ও সুইপার সদস্যদের মধ্যে গণ্ডগোল বেধে যায়। এতে আনসার সদস্য মো.হেয়ামেত হোসেন ও হরিজন সদস্য প্রান্তসহ সাতজনের মতো আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনসার সদস্যরা আট রাউন্ড ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করেছে।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ জানান, মোবাইল চুরির ঘটনা নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।