উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপের প্রভাবে দেশের সমুদ্রবন্দর ও উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এর জন্য আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। সমুদ্রবন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ সময় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
গত কয়েক দিন ধরেই সাগরে সৃষ্টি লঘুচাপের ফলে দেশের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল, এই বৃষ্টিপাত আরও দুই দিন চলবে। এ সময় মৌসুমি বায়ুর প্রভাব বিদ্যমান থাকবে।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন সোমবার নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, যে লঘুচাপ মধ্য সাগরে অবস্থান করছে তা পরবর্তী সময়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হতে পারে। ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পূর্ব-উত্তর প্রদেশ, বিহার, ওড়িশা, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
রংপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতে সামান্য কমতে পারে।