বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুর্গার প্রতিমা গড়ে আলোচনায় ১৩ বছরের কিশোর

  •    
  • ৪ অক্টোবর, ২০২২ ২২:২৫

ছেলে সম্পর্কে সুভাষ বলেন, ‘ওর বয়স যখন মাত্র ১১ বছর, তখন খেলনা বানানোর ছলে ছোট্ট একটি দুর্গামূর্তি বানিয়ে ফেলে।’

মাত্র ১৩ বছর বয়সেই দক্ষ কারিগরের মতো দেবী দুর্গার প্রতিমা গড়লেন স্বপ্ন সরকার স্নিগ্ধ। তার বানানো দুর্গামূর্তি দিয়েই এবার জনাড়ম্বরে উদযাপিত হচ্ছে দুর্গোৎসব। হাজারও দর্শনার্থী এসে ভিড় করছেন স্বপ্নদের বাড়ির পূজা মণ্ডপে। লোকমুখে ঘুরছে তার অবিশ্বাস্য প্রতিভার গল্প।

স্বপ্ন সরকারের বাড়ি নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার সোয়াইর ইউনিয়নের কুলপতাক গ্রামে। স্থানীয় আদর্শনগর বাজারের শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। তার বাবা সুভাষ সরকার নেত্রকোণা শহরে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। আর মা শিউলী সরকার একজন গৃহিণী।

বাবা সুভাষ সরকার জানান, মৃৎশিল্পের ওপর স্বপ্নর কোনো প্রশিক্ষণ নেই। এমনকি কোনো ওস্তাদও নেই। নিজে নিজেই মূর্তি বানানোর কৌশল আয়ত্ত্ব করেছে সে।

সুভাষ সরকার আগে যখন সিলেটে চাকরি করতেন, তখন স্বপ্ন সেখানকার একটি কিন্ডারগার্টেন পড়তো। ওই স্কুলে পড়ার সময়ই সে ছবি আঁকার কৌশল রপ্ত করে। এরপর করোনা পরিস্থিতিতে সুভাষ চাকরি নিয়ে নেত্রকোণা শহরে চলে আসলে পরিবারের সদস্যদের পাঠিয়ে দেন মোহনগঞ্জের কুলপোতাক গ্রামে। গ্রামের বাড়িতে এসেই মাটি দিয়ে খেলনা বানানোর কাজে মেতে ওঠে সে।

ছেলে সম্পর্কে সুভাষ বলেন, ‘ওর বয়স যখন মাত্র ১১ বছর, তখন খেলনা বানানোর ছলে ছোট্ট একটি দুর্গামূর্তি বানিয়ে ফেলে। সেটি বানাতে গিয়েও সে কিছুটা ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। সাধারণত মূর্তির কাঠামো বানানো হয় বাঁশ দিয়ে। কিন্তু স্বপ্ন মূর্তির কাঠামো বানিয়েছিল পরিত্যক্ত কলম দিয়ে।

‘প্রথম মূর্তিটি বানানোর পর এলাকার ধর্মপ্রাণ সবাই বাড়িতে পূজো করার উপদেশ দেন। এরপর থেকে পারিবারিক উদ্যোগে বাড়িতে মণ্ডপ স্থাপন করে দুর্গা দেবীর পূজো দিতে শুরু করি।’

গতবারও স্বপ্নর বানানো মূর্তি দিয়ে পূজা হয়েছে। এবারের মূর্তিটি আগেরবারের চেয়ে আরও বড় হয়েছে।

স্বপ্ন জানায়- বাঁশ, খড়, মাটির মতো উপকরণ দিয়ে মূর্তিটি বানাতে তার প্রায় দেড় মাস সময় লেগেছে। মূর্তি বানাতে সব মিলিয়ে তার খরচ হয়েছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। আর পূজো উদযাপনে সব মিলিয়ে খরচ হচ্ছে প্রায় লাখ টাকা। তার বাবা-কাকা এবং অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনই দিচ্ছেন এ অর্থের জোগান। এর বাইরে গ্রামেরও অনেকে এসে শরিক হয়েছেন তাদের পূজায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আশপাশে আরও কয়েকটি পূজা হলেও স্বপ্নদের বাড়ির মণ্ডপে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি একটু বেশিই। একজন সদ্য কিশোরের বানানো মূর্তি দেখতে বিশেষ কৌতুহল সবার মধ্যে।

দেবী দুর্গাকে যেমন সবাই দেখছেন, তেমনি তার কারিগর স্বপ্নকেও এক নজর দেখে যাচ্ছেন অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর