মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের আবু জাফর নামের এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুল হাসানের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে গত সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসক বরারব লিখিত অভিযোগ করেছেন নিহতের ভাই সালাউদ্দিন ঠান্ডু।
নিহত আবু জাফর দৌলতপুরে বাচামারা ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। স্থানীয় বাচামারা বাজারে বিকাশ ও ফ্রিজের দোকান চালাতেন তিনি।
অভিযোগপত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৬ জুলাই করোনা মহামারির সময় উপজেলার বাচামারা বাজারে আনসার সদস্যদের নিয়ে অভিযান চালান ইউএনও ইমরুল হাসান।
এ সময় আবু জাফরের দোকান খোলা পেয়ে তাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ইউএনও। জরিমানা শেষে জাফরকে গালাগালও করেন।
এক পর্যায়ে এক আনসার সদস্যের কাছ থেকে বন্ধুক নিয়ে জাফরকে তিনি বেধড়ক পেটাতে থাকেন। জাফরের আর্তচিৎকারে তার বড় ভাই সালাউদ্দিন ঠান্ডু এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে এবং ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান ইউএনও।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত জাফর দীর্ঘ ৯ মাস ১৬ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাড়িতে মারা গেছেন।
নিহতের ভাই সালাউদ্দিন ঠান্ডু বলেন, ‘ইউএনও এর ভয়ে এতদিন অভিযোগ করতে পারিনি। আগে দেখা হলেই তিনি হত্যার হুমকি দিতেন। কিন্তু ভাই মারা যাওয়ার পর ছোট ভাতিজা ও ভাতিজির কথা ভেবে বাধ্য হয়ে বিচারের জন্য অভিযোগ করেছি।’
ঠান্ডু জানান, নির্যাতনের কারণে তারও ঘাঁড়ের হাড় ভেঙে গেছে। এখন তিনিও পঙ্গুপ্রায়।
তিনি বলেন, ‘তার (ইউএনও) জন্য আমার ৫ বছরের ভাতিজা আলামিন ও এক বছরের ভাতিজি তাহমিনা এতিম হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই। একজন সরকারি কর্মকর্তা আমার ভাইকে হত্যা করেছে। এ জন্য কি বিচার হবে না?’
অভিযোগে বিষয়ে ইউএনও ইমরুল হাসান বলেন, ‘যেহেতু অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে। এ কারণে তদন্ত চলাকালীন কিছু বলবো না।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, ‘লিখিত অভিযোগের পর তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত রির্পোটে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’