ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় অন্তঃসত্ত্বা মনোয়ারা বেগমকে পিটিয়ে হত্যার ২৮ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শামসুন্নাহারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
৫০ বছর বয়সী শামসুন্নাহার উপজেলার হুরবাড়ি গ্রামের জোবেদ আলীর মেয়ে। তিনি মনোয়ারা বেগমের ননদ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ কার্যালয় এসব তথ্য জানায়।
রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকা থেকে সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার বরাত দিয়ে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ কার্যালয়ের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) বেলায়েত হোসেন জানান, ফুলবাড়িয়ার হুরবাড়ী গ্রামের জোবেদ আলীর ছেলে আব্দুল আউয়ালের সঙ্গে মনোয়ারা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য তাকে নির্যাতন শুরু করেন আব্দুল আউয়াল।
তিনি জানান, ১৯৯৪ সালের ১১ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে মনোয়ারা বেগমকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন আব্দুল আউয়াল, তার দুই বোন শামছুন্নাহার ও হাফেজা খাতুন এবং তাদের ভাতিজা সাইফুল ইসলাম। হত্যার পর ঘটনা ধামাচাপা দিতে মনোয়ারা বেগমের মুখে বিষ দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানো হয়। মনোয়ারার ভাই মো. শহিদুল্লাহর বিষয়টি সন্দেহ হলে তিনি হত্যা মামলা করেন।
র্যাব কর্মকর্তা বেলায়েত আরও জানান, ওই মামলায় শামছুন্নাহারসহ এজাহারনামীয় আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার মধ্যরাতে রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকা থেকে শামসুন্নাহারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ফুলবাড়িয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।