গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে সৃষ্ট বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বিকল্প হিসেবে জেনারেটরের সহায়তায় কার্যক্রম সচল রেখেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সে সুবাদে এই সময়ে দেশের ব্যস্ততম বিমানবন্দরটিতে কোনো ফ্লাইট বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সব ধরনের কার্যক্রম জেনারেটর দিয়ে পরিচালনা করছি। ইমিগ্রেশন, চেকইন, লাগেজ বেল্ট, বোর্ডিং ব্রিজসহ সব অপারেশনই স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
‘বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে প্রাথমিকভাবে আধ ঘণ্টা ইমিগ্রেশন কার্যক্রমে ধীরগতি ছিল। কিন্তু এখন সেটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তবে বিমানবন্দরের এসিগুলোর কার্যক্রম কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে।’
মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে ইস্টার্ন গ্রিড ফেল করার পর ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।
এ ধরনের বিপর্যয় হলে সব বিদ্যুৎকেন্দ্র স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ম্যানুয়ালি আবার চালু করতে হয়। এই চালু করতেও লাগে বিদ্যুৎ আর সেটি জোগাড় করতে হয় প্রথমে।
বিদ্যুৎ বিভাগ বা সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য আসেনি বেশ কয়েক ঘণ্টা। এ সম্পর্কিত কিছু তথ্য পাওয়া যায় ঢাকার বাইরের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে।
বরং অন্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তার ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি করছেন। হালনাগাদ তথ্যও তিনিই দিচ্ছেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী পলক প্রথমে বিকেল ৫টার দিকে জানান, রাজধানী ঢাকায় সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু হওয়া শুরু করবে আর রাত ৮টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। চট্টগ্রামে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে আরও এক ঘণ্টা।