আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ধরে রেখে ভিন্ন মত ও ধর্মকে সম্মান দেখাতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া যাবে না। কেউ কাউকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির অঙ্গনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যদি বিশ্বাস করি এই বিশ্ব সৃষ্টিকর্তার তৈরি, আল্লাহর তৈরি; যে যেভাবেই ডাকি না কেন। সেই শক্তির প্রতি যারা যেভাবে যতটুকু বিশ্বাস থেকে নিজ নিজ ধর্ম পালন করেন তাতে সবারই সম্মান দেখানো উচিত।’
‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কেউ কোনো কথা বলতে পারবে না। যেকোনো ধর্মের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য। ইসলাম অনেক উদার ধর্ম। আমাদের ইসলাম ধর্মে এটা নির্দেশ আছে যে সব ধর্মকে সম্মান দেখাতে হবে।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আমরা জানি পঁচাত্তরের অনেক ঘটনা ঘটেছে...। কখনো কখনো কিছু কিছু ঘটনা ঘটে। কিন্তু আপনারা নিশ্চয়ই একটি বিষয় লক্ষ্য করেছেন- আমাদের সরকার সব সময় এ ব্যাপারে যথেষ্ট ও সচেতন। যেকোনো ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়।
‘আমরা চাই এই দেশে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন, এই দেশে যারা বসবাস করেন বা যারা বাংলাদেশের নাগরিক, তিনি যে ধর্মেরই হোন সবাই যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা প্রতিটি উৎসবই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলে উদযাপন করি। সে কারণেই আমরা বলি- ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একটি বিষয়। আমাদের সবচেয়ে বড় সার্থকতা- বাংলাদেশে এই চেতনা আমরা ধরে রাখতে পেরেছি।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা সব সময় চেষ্টা করি আমাদের এই দেশটা যেন অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে চলতে পারে। কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সেটাকে খুব বড় করে না দেখে তার বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে নজর দিতে আপনাদের অনুরোধ করব। একইসঙ্গে আপনাদের সহযোগিতাও চাইব। আপনারা সেই সহযোগিতাটা করবেন।’
মহালয়ায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় পঞ্চগড়ে নৌকাডুবির ঘটনায় প্রাণহানিতে শোক এবং সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী।