গ্রিড বিপর্যয় কাটিয়ে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো একে একে চালু হওয়ার পর বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে ইস্টার্ন গ্রিড ফেল করার পর ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।
এই ধরনের বিপর্যয় হলে সবগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ম্যানুয়ালি আবার চালু করতে হয়। এই চালু করতেও লাগে বিদ্যুৎ আর সেটি যোগাড় করতে হয় প্রথমে।
বিদ্যুৎ বিভাগ বা সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য আসেনি বেশ কয়েক ঘণ্টা। যা কিছু তথ্য পাওয়া যায় ঢাকার বাইরের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে।
বরং অন্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তার ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি করতে থাকেন। হালনাগাদ তথ্যও তিনিই দিচ্ছেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী পলক প্রথমে বিকেল পাঁচটার দিকে জানান, রাজধানী ঢাকায় সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু হওয়া শুরু করবে আর রাত আটটায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। চট্টগ্রামে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে আরও এক ঘণ্টা।
বিকেল ৫টা ৪৪ মিনিটে তিনি জানান, অগ্রগতি কতটা হলো।
‘পাওয়ার গ্রিড রেস্টোরেশন আপডেট’ শিরোনামে তিনি লেখেন, ‘ঢাকা ও আশেপাশের অঞ্চলে বিদ্যুৎ রিস্টোর হতে শুরু করেছে। কিছুক্ষণ আগেই সিদ্ধিরগঞ্জ ও ঘোড়াশালের কিছু এলাকায় এবং ঢাকার বঙ্গভবনে বিদ্যুৎ রিস্টোর হয়েছে।
‘ঢাকার বেশিরভাগ এলাকায় স্বাভাবিক হবে কিছু সময়ের মধ্যেই।’
এই প্রতিবেদন লেখার সময় রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর ও আশেপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ আসে। সচিবালয়েও সংযোগ চালু হয়েছে। আরও নানা এলাকাতেও পরিস্থিতি স্বাভাকি হতে শুরু করে।
বিপর্যয়ের প্রায় চার ঘণ্টা পর বিকেল পৌনে ৬টার দিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে লেখেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘জাতীয় গ্রিড ট্রিপ করার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ পূর্বাঞ্চলের বড় একটি এলাকায় আজ দুপুর ২টা ৪মিনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। আকস্মিক এই সমস্যা সমাধানে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলীবৃন্দ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়েছে। আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সকল এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।’
সবার সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ধৈর্য ধারণের অনুরোধও করেন প্রতিমন্ত্রী।
রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলাতে বিদ্যুৎ ফেরার খবর আসছে সন্ধ্যা থেকে। হবিগঞ্জে পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক, চাঁদপুরও আলোতে উজ্জ্বল হয়েছে। নেত্রকোণাতেও জ্বলেছে বিজলি বাতি। ফেনীতেও বিদ্যুৎ আসতে শুরু করেছে। বিভাগীয় শহর চট্টগ্রাম ও সিলেটেও বিদ্যুৎ আসতে শুরু করেছে।