পঞ্চগড়ের বোদায় করতোয়ায় নৌকাডুবির পেছনে ঘাটের মাঝি ও ঘাটের ইজারাদারকে দায়ি করেছে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি। তবে আরও কিছু বিষয় এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ি বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্যরা।
সেসব বিষয় নিয়ে তারা বিস্তারিত জানাননি। তদন্ত প্রতিবেদন কমিটি জমা দিয়েছে জেলা প্রশাসকের কাছে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) জহুরুল ইসলাম মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা তদন্ত প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারের কাছে পাঠিয়েছি। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। পূর্ণাঙ্গ বিষয়টি হাতে আসলে প্রকাশ করা হবে।
‘তবে বেশ কিছু দিক যাচাই-বাছাই করে প্রথামিকভাবে নৌকাডুবির ঘটনায় ইজারাদার এবং অদক্ষ মাঝিকে দায়ী করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এছাড়া আরও বেশ কিছু দিক চিহ্নিত করা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত এখনও চলছে। সেসব প্রতিবেদন এলে পূর্ণাঙ্গ বিষয়টি জানা যাবে।
এদিকে, নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৩ জনকে উদ্ধারে ঘটনার ৯ দিনেও চলছে উদ্ধার কাজ। এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৬৯ জনের মরদেহ।
এখনও নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন, জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ছত্রশিকারপুর হাতিডুবা গ্রামের ভুপেন পানিয়া, বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের কলেজপাড়া গ্রামের সরেন্দ্র নাথ এবং সদর উপজেলার ঘাটিয়ারপাড়া গ্রামের ৪ বছর বয়সী জয়া রানি।
বোদার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়াঘাট এলাকায় করতোয়া নদীতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকা ডুবে যায়। সে সময় অনেকে সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বেশির ভাগ নারী ও শিশু পানিতে ডুবে যায়।