জাতিসংঘ দিন দিন দুর্বল প্রতিষ্ঠানে রূপ নিচ্ছে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যায় আমরা জাতিসংঘের দিকে চেয়ে থাকি। অথচ জাতিসংঘ একটি যুদ্ধ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধই থামাতে পারছে না। এতে বোঝা যায় প্রতিষ্ঠানটি দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে।
মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফেরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিকেলে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে মন্ত্রণালয়ের লবিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মোমেন।
যদিও এর আগে প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের চূড়ান্ত মুহূর্তে বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য বাদ পড়েন তিনি। তখন সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয়, অসুস্থতার জন্য দিল্লি যাননি মোমেন।
মোমোন বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে থাকা সব স্কোপই আমাদের আছে। মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ সীমান্তে চলমান সংকটসহ রোহিঙ্গা সমস্য সমাধানে বাংলাদেশের জাতিসংঘে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে সংস্থাটি ইদানীং অনেক দুর্বল হয়ে গেছে।
‘জাতিসংঘে আগেও আমরা গিয়েছি। কিন্তু সেখানে যেমন সিকিউরিটি কাউন্সিল…। জাতিসংঘ তো ইদানীং অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। কারণ বিভিন্ন দেশে তারা সুবিধা করতে পারছে না। যুদ্ধই থামাতে পারছে না।’
মিয়ানমার ইস্যুতে চীন সব সময়ই বাংলাদেশের পাশে ছিল বলেও জানান তিনি। তারাও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। কিন্তু রেজাল্ট আসছে না জানিয়ে মোমেন বলেন, ‘চীন সব সময় আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, কিন্তু কখনোই সুবিধা করতে পারেনি।’
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এবারের জাতিসংঘ সম্মেলনে রোহিঙ্গা বিষয়ে ভালো সাড়া মিলেছে। উচ্চ পর্যায়ে কথা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যুক্তরাজ্য সরাসরি কথা বলেছে। অথচ আমরা রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ভয়ে ছিলাম।
‘আমেরিকা নিজ থেকে এসে ১৭০ মিলিয়ন সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছে। প্রত্যাবাসনে সবাই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে৷’
মিয়ানমারের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটা সীমান্ত সমস্যা নিয়ে মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ঠান্ডা মাথায় সব কিছু মোকাবিলা করছে। সব স্কোপে অবারিত আছে। বাংলাদেশের যা করণীয় করবে। কিন্তু মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশ উসকানিতে সাড়া দেবে না। আমরা সবাই শান্তি চাই। শান্তির কথা বলে এসেছে বাংলাদেশ।’
মানবাধিকার কমিশনের সামনের ভোট সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানবাধিকার সমুন্নত। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ভুল তথ্যের আসা দুঃখজনক। আমরা এবার সেসব তুলে ধরেছি। দেখা গেছে, কেউ ভারতের জেলে আছে, তাকেও আগের তালিকায় গুম দেখানো হয়েছে। বিশ্বে মানবাধিকার রক্ষায়, মানবাধিকারে সোচ্চার। ভোটাভুটিতে বাংলাদেশ জিতবে।’
এ ছাড়া র্যাবের নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতেও ঢাকার অবস্থান ওয়াশিংটনের কাছে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।