খুলনার মহেশ্বরপাশা থেকে নিখোঁজ রহিমা বেগমকে অপহরণের অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার ৪ জনকে জামিন দিয়েছে আদালত।
খুলনা মহানগর দায়রা জজ মাহমুদা খানম মঙ্গলবার দুপুরে তাদের জামিন দেন।
জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন, মঈন উদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া, রফিুকল ইসলাম পলাশ ও মোহাম্মাদ জুয়েল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল কালাম আজাদ।
মামলার আরও দুইজন আসামি হেলাল শরীফ ও রহিমার বেগমের স্বামী বেলাল হাওলাদারের জামিন হয়নি।
পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘রহিমা বেগমের অপহরণ মামলায় আজকে পাঁচ জনের জামিনের শুনানি ছিল। তার মধ্যে চার জনের জামিন হয়েছে। তবে রহিমার বেগমের স্বামী বেলালের জামিন হয়নি। তাকে রিমান্ডের নেয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। তার শুনানি এখনও হয়নি।
‘মামলার অন্য আসামি হেলাল শরীফের পরিবারের পক্ষ থেকে সিএমএম আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। সেটি আরেকটি আদালত, সেখানে এখনও শুনানি হয়নি।’
গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া থেকে রহিমা নিখোঁজ হন বলে অভিযোগ করে তার পরিবার। রাত সোয়া ২টার দৌলতপুর থানায় অপহরণের অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রহিমার ছেলে মিরাজ আল সাদী।
সে জিডি থেকে জানা যায়, নিখোঁজের সময় রহিমার দ্বিতীয় স্বামী বেল্লাল হাওলাদার বাড়িতে ছিলেন। পানি আনতে বাসা থেকে নিচে নেমেছিলেন রহিমা। দীর্ঘ সময় পরও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
মাকে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে ২৮ আগস্টে দৌলতপুর থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন রহিমার মেয়ে আদুরী।
রহিমা অপহৃত হয়েছেন দাবি করে ১ সেপ্টেম্বর খুলনায় সংবাদ সম্মেলন করেন পরিবারের সদস্যরা।
রহিমার সঙ্গে জমি নিয়ে স্থানীয়দের মামলা চলছে বলেও সে সময় জানানো হয়েছিল। রহিমার করা সেই মামলায় আসামিরা হলেন প্রতিবেশী মঈন উদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া, রফিুকল ইসলাম পলাশ, মোহাম্মাদ জুয়েল ও হেলাল শরীফ।
আদালত ১৪ সেপ্টেম্বর রহিমা অপহরণ মামলা পিবিআইতে পাঠানোর আদেশ দেয়। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর নথিপত্র বুঝে নেয় পিবিআই।