আজ মহানবমী। দেবী দুর্গার মর্ত্য থেকে চলে যাওয়ার আগের দিন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা সারা বছর ধরে যে উৎসবের জন্য অপেক্ষায় থাকে, তার বিদায় ঘণ্টা শুরু হয় নবমী থেকে। ঢাকাসহ সারা দেশে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা।
শাস্ত্র মতে, নবমী তিথি শুরু হয় সন্ধিপুজো দিয়ে। সন্ধিপুজো হয় অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমী সূচনার প্রথম ২৪ মিনিটজুড়ে। মূলত দেবী চামুণ্ডার পূজা হয় এই সময়ে। ১০৮টি মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে ও ১০৮টি পদ্মফুল নিবেদন করা হয় দেবীর চরণে। নিবেদন করা হয় রান্না করা ও কাঁচা সবজি, ফল ইত্যাদিও।
রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী ও খামারবাড়ি মন্দিরে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে নবমী পূজার কার্যক্রম। পূজা শেষে চলছে আরতি নাচ। এরপর ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হবে প্রসাদ।
সন্ধ্যায় ঢাকাসহ দেশের সব মন্দিরে দেবীর উদ্দেশ্যে করা হবে ধুনুচির নাচ। মহানবমীর সন্ধ্যায় প্রতিটি পূজামণ্ডপে ধুনুচি নাচের আয়োজন করা হয়। মাটির সরায় নারকেলের ছোবড়া এবং ধূপ ও ধুনো জ্বালানো হয়। তারপর সেটা নিয়ে ঢাকের তালে মেতে ওঠে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
মূলত সপ্তমী থেকে নবমী প্রতিদিনই ধুনুচি নাচের প্রচলন রয়েছে। তবে ধুনুচি নাচের মূল আকর্ষণ ফুটে ওঠে মহানবমীর সন্ধ্যায়।
পূজা কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৬টায় মন্দিরগুলোতে সান্ধ্য পূজা শুরু হবে। এরপর রাত ৮টায় শুরু হবে ধুনচি নাচ।
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে এবার ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবার মণ্ডপ বেড়েছে ৫০টি। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে ২৪১টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন করা হবে।
পঞ্জিকা অনুযায়ী, শনিবার মহাষষ্ঠীতে সকালে দুর্গাদেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ এবং ষষ্ঠীবিহিত পূজা, সন্ধ্যায় দেবীর বোধন। রোববার মহাসপ্তমীবিহিত পূজা, সোমবার মহাঅষ্টমীবিহিত পূজা, মঙ্গলবার মহানবমীবিহিত পূজা এবং বুধবার দশমীবিহিত পূজা সমাপন ও প্রতিমা বিসর্জন।