‘দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব সর্বত্র। মানুষ সুশাসন পাচ্ছে না, ন্যায়বিচার পাচ্ছে না। এসব থেকে জাতিকে মুক্ত করতে সরকার পতন আন্দোলনে বিএনপিকে নেতৃত্ব দিতে হবে।’
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) চেয়ারম্যান অলি আহমদ এসব কথা বলেছেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সোমবার রাতে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক এলডিপির সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপ শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার যে প্রক্রিয়া শুরু করেছি তার অংশ হিসেবে আজ প্রবীণ জননেতা অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনা করেছি। আমরা আন্দোলনের দাবিগুলো নিয়ে কথা বলেছি। সরকার পতনে যুগপৎ আন্দোলনে আমরা একমত হয়েছি।’
অলি আহমদ বলেন, ‘আজ যে মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো হচ্ছে, আমাদের ওপর যে নির্যাতন হচ্ছে সেসব থেকে মুক্তি এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা বিএনপির নেতৃত্ব ছাড়া সম্ভব নয়।
‘বিএনপি ইতোমধ্যে স্পষ্ট ভাষায় বলেছে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। অতীতে যেকোনো সময়ে আমরা ভুল করেছি। আজ আমাদেরকে তার খেসারত দিতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এবার আমরা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই সরকারের পদত্যাগ চাই, তাদেরকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে এবং সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। নতুন সরকার আসবে, তারা প্রশাসন ঠিক করবে।
‘মানুষ যখন প্রস্তুত হবে, প্রশাসন যখন প্রস্তুত হবে, জনগণ যখন ভোট দিতে পারবে নির্ভয়ে এবং উতসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে তখন নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। বর্তমান অবস্থায় যদি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয় আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ নির্বাচিত হবে না। কারণ প্রশাসনের প্রতিটি জায়গায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের প্রাধান্য।
‘আমরা এই সরকারের পতন চাই। দফা একটাই- এই সরকার কবে যাবি, নতুন সরকার কবে আসবে। সেটাই হবে এক দফা। বাকিগুলো আনুষঙ্গিক।’
বিএনপি মহাসচিব দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানকে নিয়ে রাতে মহাখালীর ডিওএইচএসে এলডিপি চেয়ারম্যান অলি আহমদের বাসায় যান। সেখানে এলডিপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করেন।
এই সংলাপে এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল আলম, নেয়ামূল বসির, আওরঙ্গজেব বেলাল ও সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ ছিলেন।