বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন ঘিরে কোনো ধরনের সহিংসতা নয়, বরং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দেখতে চান ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।
সোমবার রাত ৮টার দিকে তিনি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কমুদিনি হোমসের মন্দিরে দুর্গাপূজা পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ‘এক বছরের কিছু সময় পর বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচন ঘিরে পরিস্থিতি পর্যেবক্ষণ করছে ব্রিটেন। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগমুক্ত নয় তারা।’
ডিকসন বলেন, ‘বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা রাস্তাঘাটে রাজনৈতিক সহিংসতা ঘটেছে। বিষয়টি উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি নয়। যেকোনো সমাজের জন্যই রাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হতে হবে, যে সংস্কৃতি একসময় বাংলাদেশে ছিল। আমরা সংঘর্ষ নয়, শান্তি দেখতে চাই।’
এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করার কথাও বলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য দলগুলোর সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। কীভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে তা ছিল আলোচনায়। এই ধারা অব্যাহত থাকবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে ব্রিটেনের প্রত্যাশা নিয়ে এ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আশা করি, সব কিছু ভালোভাবেই সম্পন্ন হবে।
তবে বিশ্বের এখন যে পরিস্থিতি, তাতে খাদ্য ও জ্বালানি এবং রোহিঙ্গা সংকটে বিশ্ব সম্প্রদায়কে একত্রে কাজ করতে হবে।’
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার এইচ ই জার্মি বুয়ার, সুইজারল্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর নেথালি চার্ট, নরওয়ের অ্যাম্বাসেডর এসপেন রিক্টার, কমুদিনি ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা, মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম।