বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাংবাদিক আফতাব হত্যা মামলায় আপিল শুনানি শুরু

  •    
  • ৩ অক্টোবর, ২০২২ ২৩:১৪

আফতাব আহমেদ দৈনিক ইত্তেফাকের জ্যেষ্ঠ আলোকচিত্রী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি রংপুরের গঙ্গাচড়ায়। তিনি ঢাকার পশ্চিম রামপুরার ৬৩ নম্বর হোল্ডিংয়ে একটি চারতলা ভবনের তৃতীয় তলায় থাকতেন। ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাতে নিজ বাসায় খুন হন ৭৮ বছর বয়সী আফতাব।

ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি হয়।

শুনানির শুরুতে পেপারবুক উপস্থাপন করা হয়। প্রথম দিনে বিচারিক আদালতে মামলার রায় পাঠ করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারানুম মিতি।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামলাটির আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের উপর শুনানি শুরু হয়েছে। রায়ের অংশটি পাঠ করা হয়েছে। পরে আদালত মঙ্গলবার পর্যন্ত মূলতবি করে।’

আদালতে উপস্থিত ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আঞ্জুমান আরা বেগম, কাজী শামসুন নাহার ও সায়েম মো. মোরসেদ। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান খান ও আরিফুল ইসলাম।

একুশে পদকপ্রাপ্ত ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমেদকে হত্যার দায়ে ২০১৭ সালে ২৮ মার্চ আদালত পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়। ঢাকার চার নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামিরা হলেন, নিহত আফতাব আহমেদের গাড়িচালক মো. হুমায়ুন কবীর মোল্লা এবং তার সহযোগি বিলাল হোসেন কিসলু, হাবিব হাওলাদার, মো. রাজু মুন্সী ও মো. রাসেল। অপর আসামি সবুজ খানকে সাত বছর কারাদণ্ড ছাড়াও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

রায়ের পর পরই মামলায় ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেন।

মামলা থেকে জানা যায়, আফতাব আহমেদ দৈনিক ইত্তেফাকের জ্যেষ্ঠ আলোকচিত্রী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি রংপুরের গঙ্গাচড়ায়। তিনি ঢাকার পশ্চিম রামপুরার ৬৩ নম্বর হোল্ডিংয়ে একটি চারতলা ভবনের তৃতীয় তলায় থাকতেন। ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাতে নিজ বাসায় খুন হন ৭৮ বছর বয়সী আফতাব।

হত্যা মামলাটির তদন্ত চলাকালে র‍্যাব গ্রেপ্তার করে আফতাবের গাড়িচালক হুমায়ুন কবীরসহ পাঁচজনকে।

আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করার সময় বাধা দিলে আফতাবকে হত্যা করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর