বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাড়ার এয়ারক্রাফটে গচ্চা ১১০০ কোটি, দুদকে তলব আরও ৮

  •    
  • ৩ অক্টোবর, ২০২২ ১৮:৫৯

নতুন করে ডাকা হয়েছে প্লানিং ও ফ্লিট ম্যানেজার মোহাম্মদ আজাদ রহমান, প্রধান সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার জিএম ইকবাল, উপপ্রধান প্রকৌশলী এ আর এম কায়সার জামান, আইন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আজরা নাসরিন রহমান , কস্ট অ্যান্ড বাজেট বিভাগের জিএম সিএম খায়রুল আলম, কন্ট্রোলার অফ অ্যাকাউন্টস এ এসএম মঞ্জুর ইমাম, চিফ অফ টেকনিক্যাল হাসান ইমাম, করপোরেট প্লানিং বিভাগের জিএম বেলায়েত হোসেন ও প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক এমএম আসাদুজ্জামানকে।

মিশর থেকে ভাড়ায় দুই এয়ারক্রাফট এনে রাষ্ট্রের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা গচ্চার ঘটনায় দুই দিনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জিএম আজরা নাসরিনসহ আরও আট কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তাদের ১১ ও ১২ অক্টোবর দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হতে হবে।

সোমবার অভিযুক্তদের নির্দিষ্ট দিনে সশরীরে হাজির হতে চিঠি দেয় দুদক। গত মাসে আরও সাত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।

নতুন করে যাদের ডাকা হয়েছে তারা হলেন, প্লানিং ও ফ্লিট ম্যানেজার মোহাম্মদ আজাদ রহমান, প্রধান সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার জিএম ইকবাল, উপপ্রধান প্রকৌশলী এ আর এম কায়সার জামান, আইন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আজরা নাসরিন রহমান , কস্ট অ্যান্ড বাজেট বিভাগের জিএম সিএম খায়রুল আলম, কন্ট্রোলার অফ অ্যাকাউন্টস এ এসএম মঞ্জুর ইমাম, চিফ অফ টেকনিক্যাল হাসান ইমাম, করপোরেট প্লানিং বিভাগের জিএম বেলায়েত হোসেন ও প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক এমএম আসাদুজ্জামান।

দুদকের উপপরিচালক আনোরুল হক ও সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তারের জিজ্ঞাসাবাদকারী দল এই জিজ্ঞাসাবাদ পরিচালনা করে।

এর আগে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটির প্রিন্সিপাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর সাইফুল হক শাহ, এয়ার ওয়ার্থনেস কনসালটেন্ট গোলাম সারওয়ার, বিএফসিসি ম্যানেজার সাদেকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও কামাল উদ্দিন আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী (মেনটেইনেন্স) এসএম সিদ্দিক, আই অ্যান্ড কিউএর প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার এসএম হানিফ এবং এমসিসির প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার দেবেশ চৌধুরী।

ওই সময় ফ্লাইট অপারেশন পরিচালক এবং পরিদর্শক দলের টিম লিডার ইশরাত আহমেদ হাজির হননি।

২০১৪ সালে পাঁচ বছরের চুক্তিতে মিশরের ইজিপ্ট এয়ার থেকে বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর মডেলের উড়োজাহাজ দুটি ভাড়া নেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। প্রথম বছর শেষেই দুই এয়ারক্রাফটের ইঞ্জিন বিকল হয়। এগুলো প্রায় ১২ থেকে ১৫ বছরের পুরোনো এবং এর উড্ডয়ন যোগ্যতার মেয়াদকাল কম থাকায় ইঞ্জিনগুলো পুরোপুরি বিকল হয়ে যায়।

উড়োজাহাজ সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। দেড় বছরের মাথায় নষ্ট হয় সেটিও। এতে পাঁচ বছরে দেশের ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

বিষয়টি উঠে আসে একাদশ জাতীয় সংসদের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির তদন্তে।

স্থায়ী কমিটির পাঠানো ওই প্রতিবেদনের পর অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। প্রয়োজনে এর সঙ্গে জড়িত অন্য কর্মকর্তাদেরও পর্যায়ক্রমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানায় দুদক।

সংস্থাটি জানায়, এখানে লিজ চুক্তির এবং দরপত্রের স্পেসিফিকেশনে কোনো দুর্বলতা আছে কি না এগুলোর অনুসন্ধান চলছে। নতুন করে অধিযাচনপত্র পাঠানো হয়েছে। চাওয়া হয়েছে ইজিপ্ট এয়ারের সঙ্গে হওয়া লিজ চুক্তির কপি ও বিমান লিজ সংক্রান্ত প্ল্যানিং এবং মূল্যায়ন প্রতিবেদন, ইঞ্জিন বিকল এবং এর মেইন্টেন্যান্সের প্রতিবেদনসহ আর্থিক ব্যয় বিবরণী।

এ বিভাগের আরো খবর