বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কূটনৈতিক শালীনতা বজায় রাখুন: বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের হাছান

  •    
  • ৩ অক্টোবর, ২০২২ ১৬:৫০

‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা অবশ্যই পরামর্শ দিতে পারেন, কিন্তু সেই পরামর্শ যেন কখনো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের মতো না হয়। একই সঙ্গে কূটনৈতিক শালীনতা যেন লঙ্ঘন না হয়।’

নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করার সময় কূটনৈতিক শালীনতা বজায় রাখতে বিদেশি দূতদের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বলেছেন, বিদেশি দূতরা পরামর্শ দিতে পারলেও তাদের বক্তব্য যেন কখনও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের মতো না হয়। তাদের বক্তব্যে যেন কূটনৈতিক শালীনতা লঙ্ঘন না হয়।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের নানা বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে মন্ত্রী সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য যারা রাষ্ট্রদূত ছিলেন, তারাও এ নিয়ে কথা বলেছেন এবং অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতরাও এ নিয়ে কথা বলেন। আমরা তো তাদের সঙ্গে একমত। আমরাও স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন চাই। তাদের সঙ্গে তো আমাদের কোনো দ্বিমত নেই।

‘স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে হলে শুধুমাত্র সরকারি দলের দায়িত্ব নয়, এ দায়িত্ব কিন্তু সব দলের আছে। যারা এই নিয়ে বক্তব্য রাখছেন আশা করি তাদের সেই বক্তব্যগুলো যারা সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা চালায় বিএনপিসহ তাদের কানে পৌঁছাবে এবং একটি অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে তারা সহায়তা করবে।’

পিটার হাস গত এক সপ্তাহে দুটি আয়োজনে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করেছেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ এ অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে যে রাজনৈতিক সহিংসতা চলছে, তা একটি সঠিক নির্বাচনের জন্য সহায়ক নয়। নির্বাচনের আগে ও পরের ঘটনাও একটি অবাধ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অংশ, তাই বাংলাদেশের বর্তমান সহিংসতার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও বিশ্ব সম্প্রদায় নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’

তার আগের দিন যুক্তরাষ্ট্রের দূত কথা বলেন আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) আয়োজিত ভোজে। সেদিন তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আশা করে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর বা পরের বছরের জানুয়ারিতে হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় নিবার্চন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।

বাংলাদেশের একটি ইংরেজি দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারেও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করেন পিটার হাস। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ভয়ভীতি দেখানো ও রাজনৈতিক সহিংসতার খবর উদ্বেগজনক। এমন পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। আমরা সব পক্ষকে আইনের শাসনকে সম্মান করার এবং সহিংসতা, জবরদস্তি, ভীতি প্রদর্শন বা প্রতিশোধ নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। সেই সঙ্গে সাংবাদিকরা যেন স্বাধীন ও পরিপূর্ণভাবে নির্বাচনের খবর সংগ্রহ করতে পারে, সেজন্য তাদেরকে হয়রানি ও সহিংসতা থেকে নিরাপত্তা দিতে হবে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা অবশ্যই পরামর্শ দিতে পারেন কিন্তু সেই পরামর্শ যেন কখনো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের মতো না হয়।

‘একই সঙ্গে কূটনৈতিক শালীনতা যেন লঙ্ঘন না হয়। তারা যে কথাগুলো বলছেন, আমরাও তাদের সঙ্গে শতভাগ একমত। সে ধরনের নির্বাচনই আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী করতে চান।’

এ বিভাগের আরো খবর