পাবনার ফরিদপুরে ভ্যানচালককে হত্যার দায়ে এক ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক সোমবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) দেওয়ান মজনুল হক নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডিতরা হলেন উপজেলার কেনাই পশ্চিমপাড়া গ্রামের জয়নুল সরদারের ছেলে ও পুঙ্গুলি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মুকুল সরদার, দিঘুলিয়া গ্রামের শাহীন আহমেদ এবং ছোট গোলকাটা গ্রামের মো. আজম।
খুন হওয়া ২৭ বছর বয়সী ভ্যানচালক মনিরুল খাঁ ও দণ্ডিতরা পরস্পর বন্ধু ছিলেন। রায় ঘোষণার পর আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২১ জুন নিখোঁজ হন মনিরুল। পর দিন বিকেলে উপজেলার কেনাই মাঠের ফসলি জমিতে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য মুকুল, শাহীন ও আজমের নামে ফরিদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন বাবা ইসাহাক আলী খাঁ।
মামলার তদন্তে উঠে আসে খুন হওয়া মনিরুল ও আসামিরা পরস্পর বন্ধু ছিলেন। সেদিন কেনাই মাঠে তাদের মধ্যে জুয়া খেলায় জিতে যান মনিরুল। এ সময় জুয়ার টাকা নিয়ে অন্য তিনজনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মনিরুলকে গলা টিপে হত্যা করে মরদেহ ফসলি জমিতে ফেলে দিয়ে চলে যান আসামিরা।
২০১৫ সালের ১ নভেম্বর অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১২ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার আদালত তিনজনের যাবজ্জীবন দিয়েছে আদালত।
পিপি দেওয়ান মজনুল বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি প্রমাণিত হয়েছে। আদালত আসামিদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’