নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এক কিশোর অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধারের ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যার পর ছিনিয়ে নেয়া অটোরিকশাটিও।
রোববার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন মো. কাউসার, কামরুজ্জামান শিমুল ওরফে শ্যামল ও ফাহিম ওরফে জিকো। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন লিমন ও হানিফ নামে আরও দুজন এখনও পলাতক রয়েছে। গ্রেপ্তার ও পলাতক পাঁচজনই বন্দর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
এসপি গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে ১৬ বছর বয়সী চালক মো. কায়েস তার অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। সেদিন রাতে বাড়িতে না ফেরায় তাকে খুঁজাখুঁজি শুরু করেন স্বজনরা। পরদিন বন্দর থানায় তারা একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এ অবস্থায় গত শনিবার (১ অক্টোবর) বন্দরের কলাগাছিয়ার নরপদী এলাকা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
খবর পেয়ে সেখানে পরনের পোশাক দেখে কায়েসকে শনাক্ত করে তার পরিবারের সদস্যরা। এ দিনই তারা বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা করে।
এরপর থেকেই পুলিশ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের নামে পুলিশ এবং ১২ ঘণ্টার মধ্যেই জড়িতদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘শ্যামল, জিকো, লিমন ও হানিফ পূর্বপরিকল্পিতভাবে কায়েসের অটো ভাড়া করে সাবদি ব্রিজের নিচে যায়। সেখানে তারা মদ্যপান করে এবং ওই জায়গায় কায়েসকে হত্যা করে।’
পুলিশ সুপার জানান, মরদেহটি ঘটনাস্থলে রেখেই অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা। পরে অটোরিকশাটি বিক্রি করতে তাদের সহযোগিতা করেন কাউসার নামে আরেকজন।
অভিযুক্ত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর বাকি দুজনকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।