বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কেজিতে ৩ টাকা কমল এলপিজির দাম

  •    
  • ২ অক্টোবর, ২০২২ ১৮:০৮

কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘গত মাসের দাম কার্যকর হয়নি। সেক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা করছি। আগেও আমরা ভোক্তা অধিকারকে দাম কার্যকর করার অনুরোধ করেছি।’

সেপ্টেম্বরে বাড়ার পরের মাসেই কমল সিলিন্ডারজাত তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজির দাম। কেজিতে পণ্যটির দাম কমেছে তিন টাকার সামান্য কম।

এখন থেকে ১২ কেজির সিলিন্ডারে এলপিজির দাম কমেছে ৩৫ টাকা। ভোক্তা পর্যায়ে এখন ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২০০ টাকা।

সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

রোববার সংবাদ সম্মেলন করে নতুন এই দর ঘোষণা করে বিইআরসি।

নতুন দর কার্যকর সম্পর্কে বাজারে নেতিবাচক উদাহরণ থাকলে ভোক্তাদের তা অভিযোগ আকারে বিইআরসিকে জানাতে অনুরোধ করেছেন সংস্থার চেয়ারম্যন আব্দুল জলিল।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই-এলাহী চৌধুরী, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, কামরুজ্জামান, বিইআরসির সচিব খলিলুর রহমান খান।

গত মাসে সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে তার প্রয়োগ হয়নি বলে জানালে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘গত মাসের দাম কার্যকর হয়নি। সেক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা করছি। আগেও আমরা ভোক্তা অধিকারকে দাম কার্যকর করার অনুরোধ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে ভোক্তা যদি সরাসরি কমিশনে অভিযোগ করেন, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

‘কোম্পানির কাছ থেকে বেশি দামে কেনার বিষয়ে পরিবেশকরা (ডিলার) কেউ কমিশনে অভিযোগ করেননি। নির্ধারিত দামে বিক্রি না হলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্যবস্থা নেবে।’

চেয়ারম্যান বলেন, ‘অনেক সময় খুচরা ব্যবসায়ী বোতল (সিলিন্ডার) বাসায় পৌঁছে দেয়ার জন্য ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেশি নিয়ে থাকে। কেউ যদি কেনা রশিদসহ আমাদের কাছে অভিযোগ করেন তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

গ্যাস না পেয়েও প্রতি মাসে বিল দিচ্ছেন গ্রাহকরা, এ বিষয়ে কমিশনের কী করার আছে- জানতে চাইলে বিইআরসির সদস্য মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘কোনো লিখিত অভিযোগ কমিশনে আসেনি। কেউ অভিযোগ করলে কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারে।

‘সরকারি এলপিজির দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বেসরকারি খাতে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি এলপিজির নতুন দাম ১০০ টাকা ১ পয়সা। এ হিসাবে বিভিন্ন পরিমাণের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে। এ ছাড়া গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৫৫ টাকা ৯২ পয়সা, যা আগে ছিল ৫৭ টাকা ৫৫ পয়সা।’

এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়।

সেপ্টেম্বরে খুচরায় প্রতি কেজি এলপিজির দাম ছিল ১০২ টাকা ৮৮ পয়সা; সেই হিসাবে ১২ কেজি ওজনের একটি এলপিজি সিলিন্ডার কিনতে ১২৩৫ টাকা খরচ করতে হচ্ছিল।

অক্টোবরে সৌদি আরামকো ঘোষিত প্রোপেন ও বিউটেন দাম যথাক্রমে ৫৯০ ডলার ও ৫৬০ ডলার। ৩৫ অনুপাত ৬৫ হিসাবে গড় মিশ্রণের দাম দাঁড়াচ্ছে ৫৭০ ডলার।

এই হিসাবটি বিবেচনায় নিয়ে অক্টোবর মাসের জন্য বেসরকারি এলপিজি খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ১০০ টাকা ১ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর খুচরায় ১২ কেজি এলপিজির মূল্য ১২০০ টাকায় সমন্বয় করা হয়েছে বলে জানান বিইআরআই চেয়ারম্যান।

চেয়ারম্যান জানান, বাসাবাড়িতে সরবরাহ করা রেটিকুলেটেড পদ্ধতির দাম ঠিক করা হয়েছে প্রতি কেজি ৯৬ টাকা ৭৮ পয়সা। যানবাহনের জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত অটোগ্যাস প্রতি লিটার ৫৫ টাকা ৯২ পয়সা করা হয়েছে।

নতুন ঘোষণা অনুযায়ী সাড়ে ৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৫৫০ টাকা, সাড়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১২৫১ টাকা, ১৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১৫০০ টাকা, ১৬ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১৬০০ টাকা, ১৮ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১৮০০ টাকা, ২০ কেজির সিলিন্ডারের দাম ২০০০ টাকা, ২২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ২২০১ টাকা, ২৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম ২৪৯৯ টাকা, ৩০ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৩০০০ টাকা, ৩৩ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৩৩০১ টাকা, ৩৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৩৫০০ টাকা, ৪৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৪৫০০ টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর