১৫ বছর আগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ব্যবসায়ী মনির হোসেন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজনের দণ্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের সাজা বহাল রাখা হয়েছে।
রোববার বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে।
রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আতাউল হামিদ পরাগ, আলমগীর হোসেন, এরশাদ হোসেন ভুট্টু ও রতন ইবনে মাসুদ। আর যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল আসামিরা হলেন গোলজার হোসেন ও শাহীন।
এ মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি গত ২৬ সেপ্টেম্বর শেষ করা হয়। এরপর রায় ঘোষণার জন্য রোববার দিন ঠিক করে দেয় আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নুরুল।
আসামিপক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান। তাদের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম মাসুদ রানা, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, উম্মে সালমা, অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মো. আব্দুস সালাম, অ্যাডভোকেট আহসানুল কাইয়ুম ও অ্যাডভোকেট মিজানুর রশিদ।
মামলা থেকে জানা যায়, সবজি ব্যবসায়ী নিহত মনির হোসেন সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মুসারচর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে। পাওনা টাকা চাইতে গেলে ২০০৭ সালের ১৮ জুন রাতে আসামিরা তাকে একটি মাঠে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। পরে পাশের ডোবায় কচুরিপানা দিয়ে মরদেহ ঢেকে রাখে।
এ ঘটনায় করা মামলার বিচারকাজ শেষে ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ নারায়ণগঞ্জ দ্বিতীয় জেলা ও দায়রা জজ কামরুন্নাহার চার আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিপক্ষ আপিল আবেদন করে।