বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুন্সীগঞ্জে সংঘর্ষ: দুই মামলায় বিএনপির ১৭৭ জনের জামিন

  •    
  • ২ অক্টোবর, ২০২২ ১৫:২৭

আইনজীবী কামাল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই মামলায় আজ ১৭৭ জনকে আগাম জামিন দিয়েছে আদালত। তাদের ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।’

মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা দুই মামলায় বিএনপির ১৭৭ নেতা-কর্মীকে আগাম জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার তাদের জামিন দেয়।

আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে নেতা-কর্মীদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ফজলুর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন কামাল হোসেন।

আইনজীবী কামাল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই মামলায় আজ ১৭৭ জনকে আগাম জামিন দিয়েছে আদালত। তাদের ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।’

মুন্সীগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া মামলায় বিএনপির তিন শতাধিক নেতা-কর্মীর আগাম জামিন চেয়ে ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।

মুক্তারপুরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ

গত ২১ সেপ্টেম্বর জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে বিএনপির তিন নেতা-কর্মী নিহতের প্রতিবাদে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে বিক্ষোভ কর্মসূচি করে বিএনপি। ওই দিন বিকেল ৩টার দিকে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে যোগ দিতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা নেতা-কর্মীরা মুক্তারপুর মোড়ে জড়ো হতে থাকেন। পুলিশ বাধা দিলে তারা মুক্তারপুর থেকে ট্রাকে পুরোনো ফেরিঘাট এলাকায় যান।

সেখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেন। ওই সময় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজুল ইসলাম একটি মিছিলের ব্যানার ধরে টান দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

ওই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম সাওন নামে যুবদলকর্মী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

সংঘর্ষের ঘটনায় গত ২২ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় দলটির নেতা-কর্মীদের নামে দুটি মামলা হয়।

মামলা দুটিতে এক হাজার ৩৬৫ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে বিএনপির নেতা-কর্মী ও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি আছেন। দুটি মামলায় ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সংঘর্ষের ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক মাইনউদ্দিন বাদী হয়ে সরকারি অস্ত্র, গুলি লুট ও মোটরসাইকেল পোড়ানোর অভিযোগে ৩১৩ জনের নামে এবং ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন।

ওই মামলায় প্রধান আসামি করা হয় জেলা বিএনপির সদস্যসচিব কামরুজ্জামান রতনকে।

এ বিভাগের আরো খবর