ঢাকার সাভারে এক কিশোরীকে কক্ষে আটকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আরেক শিশুকেও আটকে নির্যাতন ও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়।
শনিবারের এ ঘটনায় ওই দিনই গভীর রাতে উপজেলার আশুলিয়ার পূর্ব ডেন্ডাবর এলাকা থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজু মণ্ডল রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তবে মূল অভিযুক্ত মো. ইমনকে আটকের কথা জানালেও বাকিদের পরিচয় নিশ্চিত করেননি তিনি।
১৫ বছর বয়সী কিশোরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বোন এখানে ভাড়া বাসায় থেকে একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করে। বৃহস্পতিবার আমি আশুলিয়ায় বোনের বাসায় বেড়াতে আসি।
‘ওই দিন রাতে বাসার পাশে একটি দোকানে মোবাইলে টাকা তুলতে গেলে কৌশলে ইমন নামের এক ছেলে আমার নম্বর জেনে নেয়। পরে শনিবার রাতে সে আমাকে ফোন করে ফুসলিয়ে বাসার সামনে ডেকে নেয়। এর আগেও বোনের বাসায় এসে তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘পরে ইমন পাশেই তার বন্ধু আশরাফুলের বাড়িতে আমাকে কৌশলে নিয়ে যায়। এ সময় আমার পাশের বাসার একটা শিশু মেয়ে সঙ্গে ছিল।’
কিশোরী আরও বলেন, ‘কক্ষে ঢোকার পর ইমনসহ তিনজন ভেতর থেকে দরজা আটকে দেয়। এ সময় তারা আমাকে ধর্ষণ করে। একই সময় আমার সঙ্গী শিশুটিকে আরেক কক্ষে আটকে রাখে আরেকজন। পরে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কক্ষের দরজা বাইরে থেকে তালা দিয়ে চলে যায় তারা। আমার চিৎকারে বাসার এক ভাড়াটিয়া তালা ভেঙে আমাদের উদ্ধার করে।’
১১ বছর বয়সী ওই শিশুর বাবা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রোববার এলাকার লোকজন আমারে ডাইকা ঘটনা বলে। পরে মাইয়া আমারে বলছে, ওরে ঘরে আটকাইয়া মারধর করছে।’
শিশুটির প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘শনিবার বিকেলে ওই কিশোরী ও শিশুর কাছে ঘটনা শুনে রাতে ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। রাতেই পুলিশ বাড়ির মালিক আশরাফুল, ইমনসহ পাঁচজনকে আটক করে নিয়ে যায়।’
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী নাসের নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই কিশোরী তাকে একাধিকবার ধর্ষণের কথা আমাদের বলেছে। তবে শিশুটি রাতে তাকে মারধরের কথা বললেও পরে অন্য রকম বলেছে। ওই দুজনকে থানায় আনা হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’
আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগে রাতেই পাঁচজনকে থানায় নিয়ে এসেছি। এ ঘটনায় মামলার কার্যক্রম চলছে।’