ঝালকাঠির পোনাবালিয়া এলাকায় জোর করে জমি দখল, বাড়িঘর ভাঙচুর এবং অন্যের জমিতে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে জামালপুরের জেলা ও দায়রা জজ জুলফিকার আলী খান মাসুকের বিরুদ্ধে।
ঘটনার প্রতিবাদে জুলফিকার আলীর গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী স্বজনসহ জমির ওয়ারিশরা।
শনিবার দুপুর ১২টায় ঝালকাঠি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের সামনের সড়কে ওই মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধন শেষে একটি লিখিত অভিযোগ সরবরাহ করেন অভিযোগকারীরা।
অভিযোগে উল্লেখ আছে- সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রয়াত শওকত আলী খানের পুত্র জুলফিকার আলী খান (মাসুক হুজুর) অবৈধভাবে অন্যের জমি দখল ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন। জমির ওয়ারিশান মামুন খান, রেজা খান, সাইদ খান ও অভি খান জানান, বিরোধীয় সম্পত্তির ৩ এর ১ অংশের অংশীদারদের নিয়ে তারা গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠির একটি আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা করেন। এরপরই ঝালকাঠি সদর থানার ওসির সহযোগিতায় অবৈধ নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। এ ছাড়া যেন বিশৃঙ্খলা না হয় সে জন্য পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে নোটিশ দিয়ে আসে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, জেলা জজ জুলফিকার আলী খান মাসুকের নির্দেশে তার ছোট ভাই আবু মইন খান (মামুন) ভাড়াটে মাস্তান নিয়ে জোর-জবরদস্তি করে এবং আদালতের নিষেধ অমান্য করে বিরোধীয় সম্পত্তিতে নির্মাণকাজ শুরু করেন।
বিষয়টি ঝালকাঠি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মইনুল হক এবং সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত কুমার দের নির্দেশে পুলিশ গিয়ে আবারও কাজ বন্ধ করে দেয়।
লিখিত পত্রে আরও জানানো হয়, গত বছরও (২০২১ সাল) জুলফিকার আলী খান ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি গোলাম সাঈদ খানের বসতবাড়ি ভেঙে দিয়ে ৭ শতাংশ জায়গা দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করেন। সে সময়ও তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামালপুরের জেলা ও দায়রা জজ জুলফিকার আলী খান বলেন, ‘আমি আমার জমিতে ভবন নির্মাণ করতেছি। অভিযোগকারীরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’