বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গরুর লাম্পি স্কিন রোগ ছড়িয়ে পড়ায় খামারিদের আতঙ্ক

  •    
  • ১ অক্টোবর, ২০২২ ২১:৪৫

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাঈদুর রহমান জানান, রোগটি সাধারণত বর্ষাকালেই বেশি হয়। শীত এলে এর প্রকোপ কমে যাবে।

গত ঈদুল আজহায় প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার গবাদিপশু বিক্রি করেছেন মেহেরপুর জেলার খামারি ও চাষিরা। তবে এসব খামারি ও চাষির কপালে এবার চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে লাম্পি স্কিন নামে গরুর একটি রোগ। ভাইরাসবাহিত লাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভাবে এখন দিশেহারা তারা।

তবে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, লাম্পি স্কিন ডিজিস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এটি মারাত্মক কোনো রোগ না। মশা-মাছিবাহিত এই রোগটি নিয়মিত ওষুধ খাওয়ালে তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়।

রোগটির বর্ণনা দিয়ে গাংনী উপজেলার বালিয়াঘাট গ্রামের খামারি আব্দুল জাব্বার বলেন, ‘আমার খামারের গরুর শরীরে হঠাৎ করে টিউমারের মতো গুটি গুটি কী যেন বের হয়েছে! এটা হওয়ার পর থেকেই খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে দিয়ে শুধু ঝিম ধরে দাঁড়িয়ে থাকে। পশু ডাক্তারকে দেখিয়েছি, তারা ওষুধ দিয়েছে। দেড় সপ্তাহ হয়ে গেছে। গরুর শরীরে কোনো পরিবর্তন হয়নি।’

গাভী নিয়ে একই সমস্যায় পড়েছেন বাওট গ্রামের গরু পালনকারী জায়েদা খাতুন। তার গাভী প্রতিদিন দেড় কেজি দুধ দেয়। কিন্তু ছয় দিন ধরে গাভীটির চামড়ায় ছোট ছোট টিউমারের মতো গুটি বের হয়েছে এবং যথারীতি খাওয়া-দাওয়াও কমিয়ে দিয়েছে। এতে কমে গেছে দুধের পরিমাণও।

সদর উপজেলার গরু চাষি রিপন আলীও এ ধরনের সমস্যার কথা জানিয়ে বলেন, ‘এক মাস ধরে আমার গাভীর গায়ে গুটি বের হয়েছে। ডাক্তার প‍্যারাসিটামল আর হিস্টাসিন বড়ি দিয়েছেন। তা-ই খাওয়াচ্ছি। তবে এক সপ্তাহ হয়ে গেলেও এখনও সারেনি।’

বামন্দী গ্রামের পল্লি চিকিৎসক ইউসুফ আলী বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রায় প্রতিদিনই লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু নিয়ে আসছেন খামারিরা। আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি। তবে সেরে উঠতে মাসখানেক সময় লাগছে। এ রোগে আক্রান্ত গরুর শরীরে ব‍্যথা অনুভূত হয়।’

জেলার ঐতিহ্যবাহী পশুহাট ইজারাদার সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, সোম ও শুক্রবার হাট বসে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে গরু-ছাগল কিনতে আসেন বেপারিরা। তবে বতর্মানে হাটে প্রচুর পরিমাণে লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু আসছে। সেই গরুগুলো বাইরের বেপারিরা কিনতে চাইছেন না।

তবে এই রোগ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাঈদুর রহমান।

তিনি জানান, দেশের অনেক জেলার মতো মেহেরপুরেও সম্প্রতি লাম্পি স্কিন ডিজিস দেখা দিয়েছে। মূলত রোগটি মশা, মাছি, আক্রান্ত পশুর ব্যবহৃত নিডল ও সিরিঞ্জের মাধ্যমে গরু থেকে গরুতে ছড়িয়ে পড়ে। তাই আক্রান্ত গরুটিকে অবশ‍্যই কোয়ারেন্টিন করে চিকিৎসা নিতে হবে।

তিনি আরও জানান, রোগটি সাধারণত বর্ষাকালেই বেশি হয়। শীত এলে এর প্রকোপ কমে যাবে। আক্রান্ত গরুর চিকিৎসা শুরুর ২৫ দিনের মধ‍্যে রোগটি সেরে যায়। সচেতনতার মাধ্যমেই এ রোগটিকে এড়ানো সম্ভব।

এ বিভাগের আরো খবর