বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপির গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু তা না করে দলটি নির্বাচন প্রতিহত করার নামে অরাজকতা সৃষ্টি করলে বাংলার মানুষকে নিয়ে তাদের প্রতিরোধ করা হবে।
রাজধানীর হাজারীবাগে থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও ও নৈরাজ্যের’ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কেউ নির্বাচনে আসুক বা না আসুক সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে যথাসময়েই নির্বাচন হবে। আর এই নির্বাচন হবে সংবিধানসম্মতভাবে।
‘নির্বাচনে আসা না আসা বিএনপির একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। আওয়ামী লীগও চায় তারা নির্বাচনে আসুক। কিন্তু কাউকে জোর করে নির্বাচনে আনার কোনো দরকার নেই।
‘গতবারও বিএনপি নির্বাচনে আসবে না আসবে না বলে গাধা পানি ঘোলা করে খায়-এর মতো নির্বাচনে এসেছিল।’
‘আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে ৩০ আসনও পাবে না’- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব জ্যোতিষবিদ হয়ে গেছেন? ২০০৮ সালেও বিএনপির নেত্রী বলেছিলেন যে আওয়ামী লীগ ৩০ আসনও পাবে না। কিন্তু ভোটে দেখা গেল উল্টো বিএনপিই ৩০ আসনও পায়নি। আগামী নির্বাচনের ফল কী হবে, তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ও দেশের জনগণ জানে।
‘ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হলে বিএনপির কপাল পুড়বে। তাই তারা এর বিরোধিতা করছে। বিএনপি হচ্ছে ভোট ডাকাতের সর্দার। তাই তারা ভোট ডাকাতি করার জন্য ইভিএমের বিরোধিতা করছে।’
হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজি মোহাম্মদ সেলিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও নুরুল আমিন রুহুল।