বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঝাড়ুদারকে ধর্ষণের অভিযোগ

  •    
  • ১ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:২৫

রুহিয়া থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তের পর মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ওই নারীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন ওই পরিষদেরই এক ঝাড়ুদার নারী। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে পরিষদের কম্পিউটার অপারেটরকেও।

গত শুক্রবার ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ দিলে প্রাথমিক তদন্ত শেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মামলাটি নথিভুক্ত করে পুলিশ।

শনিবার সকালে ওই নারীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

অভিযুক্ত অখিল চন্দ্র রায় গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে জয়ী হয়ে ২১ নম্বর ঢোলারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হন। মামলার অন্য আসামি পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর ২৮ বছরের ইব্রাহিম আলী আসাননগর গ্রামের মুসলিম উদ্দীনের ছেলে।

শনিবার দুপুরে নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রুহিয়া থানার ওসি সোহেল রানা।

মামলার বরাতে ওসি জানান, কিছুদিন আগে ভুক্তভোগী ওই নারীকে ঝাড়ুদারের কাজ দেন ইউপি চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায়। গত ২৭ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ওই নারীকে তিনি পরিষদে ডেকে নিয়ে যান।

পরে পরিষদের বাথরুমে একা পেয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করে চলে যান চেয়ারম্যান। বিষয়টি কম্পিউটার অপারেটরকে জানালে তিনিও ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন।

বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করতে ঘটনার দিন রাতেই ওই নারীর বাড়িতে যান চেয়ারম্যান। পরে চিকিৎসার জন্য ২ হাজার টাকা ভুক্তভোগীর বিছানার ওপর রেখে চলে আসেন তিনি।

মামলা নিতে টালবাহানা করেছে পুলিশ- এমন অভিযোগের বিষয়ে ওসি বলেন, ‘২৭ তারিখের ঘটনায় তিন দিন পর থানায় অভিযোগ নিয়ে এসেছে। মামলার প্রধান আসামি একজন জনপ্রতিনিধি। বিষয়টি মীমাংসা করতে স্থানীয়রা কালক্ষেপণ করেছে, পুলিশ নয়।’

এ ছাড়া অভিযোগপত্রের সঙ্গে ভুক্তভোগীর জাতীয় পরিচয়পত্র সংযুক্ত না থাকায় সেটি সংগ্রহ করতেও ৩ ঘণ্টা সময় লাগে বলে জানান ওসি।

ধর্ষণের বিষয়ে ঢোলারহাট ইউপি সদস্য শাহজাহান আলী বলেন, ‘ঘটনার পর আমার কাছে বিচার নিয়ে এসেছিলেন ওই নারী। আমি সবকিছু শুনে মামলার পরামর্শ দিই। তিন দিনেও সমাধান না হলে তাকে নিয়ে থানায় যাই।’

এদিকে ঘটনার সত্যতা জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায়ের সঙ্গে। তিনি ফোন রিসিভ করার পর ওই নারীকে চেনেন কি না- জিজ্ঞেস করতেই লাইন কেটে দেন। পরে একাধিকবার কল করলেও আর রিসিভ করেননি।

মামলার অন্য আসামি ইব্রাহিম আলীর মোবাইল ফোনে অনেকবার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন প্রতিবারই বন্ধ পাওয়া গেছে।

রুহিয়া থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তের পর মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ওই নারীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

এ বিভাগের আরো খবর