বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্মলেন্দু গুণের এ কেমন তামাশা

  •    
  • ১ অক্টোবর, ২০২২ ১৫:৩৮

নির্মলেন্দু গুণ লেখেন, ‘আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাইক্রোবাসে ঘাপটি মেরে থাকা বিশিষ্ট  এডভোকেট রেজাউল করিম আমাকে তেজগাঁর রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত একজন মেজিস্ট্রেটের কক্ষে নিয়ে যায় এবং বেশকিছু সন্দেহজনক স্টাম্পের ওপর আমাকে উপর্যুপরি স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করে।’

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি নির্মলেন্দু গুণ শনিবার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান কামরাঙ্গীরচরে তার বাড়িটি বেহাত হয়ে গেছে। একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে জোর করে জমি বিক্রির দলিলে তার সই নেয়া হয় বলেও উল্লেখ করেন গুণ।

‘আমার এখন কী কর্তব্য???????????’ শিরোনামে তিনি ফেসবুকে লিখেছেন (বাক্য, বানান অপরিবর্তিত), ‘আমার কামরাঙ্গীরচরে বাড়িটি মনে হয় আমার হাত-ছাড়া হয়ে গেছে।

‘গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল দশটার দিকে গীতারানী নমশূদ্র, কল্পনা বেগম এবং শান্ত ইমন-- এই তিনজন একজোট হয়ে আমাকে ডাক্তার দেখানোর নাম করে একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে কোনো হাসপাতালে না নিয়ে তেজগাঁর বিশ্ববিখ্যাত রেজিষ্ট্রি অফিসটিতে নিয়ে যায়।

‘আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাইক্রোবাসে ঘাপটি মেরে থাকা বিশিষ্ট এডভোকেট রেজাউল করিম আমাকে তেজগাঁর রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত একজন মেজিস্ট্রেটের কক্ষে নিয়ে যায় এবং বেশকিছু সন্দেহজনক স্টাম্পের ওপর আমাকে উপর্যুপরি স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করে।

‘আমি সবিনয়ে এডভোকেট করিমকে জিজ্ঞাসা করি- ভাই, এইডা কুনু ষড়যন্ত্র নয়তো? হাসিমুখে এডভোকেট করিম বলেন, না দাদা, এইটাই হইলো দানপত্র।‘

গুণের এই স্ট্যাটাস নিয়ে আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ২০ মিনিটের মধ্যে এতে রিঅ্যাক্ট করেছেন ৩০৭ জন। ৭৯টি কমেন্টের পাশাপাশি পোস্ট শেয়ার হয়েছে সাতবার।

তবে বিষয়টি নিয়ে নিউজবাংলা যোগাযোগ করলে নির্মলেন্দু গুণ হেসে জবাব দেন, ‘তামাশা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি মজা করে বিষয়টি লিখেছি। এটা ছিল স্যাটায়ার। অনেকেই বুঝতে পারেনি। লেখাটা ভালো করে পড়লে দেখা যাবে, আমি এক জায়গায় বিশ্ববিখ্যাত রেজিস্ট্রি অফিস লিখেছি। আমি আসলে স্বেচ্ছায় জমি দান করেছি।’

এ বিভাগের আরো খবর