দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক, একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খানের প্রয়াণে গভীর শোক জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা।
রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শনিবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ৮৭ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তোয়াব খানের। এরপর পৃথক পৃথক শোকবার্তায় বিশিষ্টজনেরা তাকে নিয়ে শোক প্রকাশ প্রকাশ করেন।
সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শোকবার্তায় তিনি তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোক প্রকাশ করেছেন ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। শোক জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম।
প্রয়াত এ সাংবাদিকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। শোক প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এ ছাড়া তোয়াব খানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন। র্যাবের মিডিয়া উইং থেকে এক বার্তায় এক শোক জানানো হয়।
শোক জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিও।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা শরিফুল আলমের পাঠানো এক শোক বার্তায় মন্ত্রী প্রয়াত তোয়াব খানের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
শিক্ষামন্ত্রী ভিন্ন এক শোক বার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তোয়াব খান ছিলেন বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতের অন্যতম পথিকৃৎ। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন। তার মৃত্যুতে জাতি একজন দেশপ্রেমিক, প্রগতিশীল গণমাধ্যমকর্মীকে হারালো।’
এ ছাড়া সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নবনিযুক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
১৯৩৪ সালের ২৪ এপ্রিল সাতক্ষীরার রসুলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তোয়াব খান। সাংবাদিক হিসেবে সুদীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবন রয়েছে তার।
২০১৬ সালে একুশে পদক পান তোয়াব খান। একই বছর তাকে সম্মানীত ফেলো নির্বাচন করে বাংলা একাডেমি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সেক্রেটারি ছিলেন তোয়াব খান। পরে রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ এবং প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন তিনি। দেশের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন যশস্বী এ সাংবাদিক।
নিউজবাংলা ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক হিসেবে যোগ দেয়ার আগে সর্বশেষ তিনি দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন।