বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফরিদপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রলীগের ৩ জন গ্রেপ্তার

  •    
  • ১ অক্টোবর, ২০২২ ১৩:০৫

বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শেখ সাদিক।

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় এক ঠিকাদারের কাছে চাঁদা চাওয়ার মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের দুই সহসভাপতি ও এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ২৫ বছর বয়সী ইমামুল খান, সহসভাপতি ২২ বছর বয়সী আবু মুসা ওরফে প্রিন্স মুসা ও কর্মী ২০ বছর বয়সী জসীম মোল্যা। তাদের বাড়ি উপজেলার মাঠ সালথা নামক এলাকায়।

অভিযোগের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, ফরিদপুরের তাসা কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম উপজেলা সদরের মাঠ সালথার কলেজ রোড এলাকায় দুই কিলোমিটার রাস্তার কার্পেটিং কাজ করছেন। বৃহস্পতিবার তার কাজের মালামালের ট্রলি ঠেকিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ৮-১০ জন যুবক।

এ সময় ট্রলির ড্রাইভারকে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারপিট করে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন তারা। পরে ঠিকাদার থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। অন্যরা পালিয়ে যান।

তাসা কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এর আগেও তাদের ৫ হাজার টাকা দিয়েছি। এ ব্যাপারে থানাতে একটি মামলা হয়েছে।’ তবে অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে গ্রেপ্তার হওয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আবু মুসার ভাই ইলিয়াস মোল্যা বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি রাস্তায় নিম্নমানের কাজ করছে- এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমার ভাইসহ স্থানীয় কয়েকজন ছেলেপেলে প্রতিবাদ করেন। তাদের কাছে চাঁদা দাবির বিষয়টি ভিত্তিহীন।’

সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায় মোহন রায় বলেন, ‘আমরা সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরে সাংগঠনিকভাবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, ‘চাঁদাবাজির অভিযোগে ওই ঠিকাদার একটি এজাহার করেন। পরে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এজাহারটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। তারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী কি না তা আমার জানা নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর