বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পিরোজপুরে হঠাৎ কেন এত চুরি-ছিনতাই

  •    
  • ১ অক্টোবর, ২০২২ ১২:০৮

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, ‘অপরাধ দমনে পৌর শহরে লাগানো হয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা। অপরাধীদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে। আমাদের ডিবি পুলিশসহ কয়েকটি টিম কাজ করছে।’

পিরোজপুর পৌর শহরে দিন-দুপুরে বেড়েছে ছিনতাই ও চুরির ঘটনা। গত এক সপ্তাহে শহরে ১০টির বেশি বড় ধরনের চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

চুরি-ছিনতাইয়ের কয়েকটি ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়লেও এখনও বলার মতো কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। ফলে জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে।

পিরোজপুর পৌরসভার রাজারহাট এলাকার বাসিন্দা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মহিদুল ইসলাম শেখ। চাকরি থেকে অবসর নিয়ে শুরু করেছেন ব্যবসা। ব্যবসার মাল কেনার টাকা রাখতেন বাড়িতেই।

গত ৫ সেপ্টেম্বর সকালে ব্যবসার কাজে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। তার কিছু পরে সন্তানদের নিয়ে স্কুলে যান তার স্ত্রী। দুপুর ১২টায় বাড়ি ফিরে দেখেন দরজা ভাঙা, ঘরে আলমারিও ভাঙা। সেখানে নেই কোনো টাকা।

ঘটনাটি ধরা পড়ে সিসিটিভিতে। ফুটেজে দেখা যায়, বাসার লোকজনের ওপরে আগে থেকেই নজর রাখছিলেন চোর চক্রের কয়েকজন। বাসা থেকে সবার বের হওয়ার কিছু পরেই তারা বাসায় ঢোকে। আর ৫ মিনিটের মধ্যেই চুরি শেষে বেরিয়ে যায়।

এই সময়ের মধ্যে তিনজন বিভিন্নভাবে ঘরের বাইরে পাহারা দেয়।

মহিদুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘চোরচক্রটি আমার ঘরে থাকা ১২ লাখ টাকা নিয়ে গেছে। তারা আগে থেকেই নজরে রাখে। তা না হলে এতগুলো টাকা বাসায় এনে রাখছি দুই দিন আগে। চোররা জানল কেমনে।’

এর পরের দিন দুপুরে স্কুল শেষে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন শিক্ষিকা সবিতা রানী। শহরের পালপাড়া এলাকায় বাসার কিছু দূরেই বাইকে আসা দুই ছিনতাইকারী গলা চিপে ধরে গলায় থাকা স্বর্ণের চেন নিয়ে চলে যায়। এতে আহত হন ওই নারী।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা সবিতা রানী বলেন, ‘দিন-দুপুরে মোটরসাইকেলে এমন ছিনতাই মনে হয় এটাই প্রথম। আগে এ রকম ঘটনা পিরোজপুরে শুনিনি। আমি পুলিশে অভিযোগ দিয়েছি। তারা ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন।’

জনা গেছে, পিরোজপুর শহরে গত এক সপ্তাহে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ১০টিরও বেশি। এর মধ্যে সদর থানাতেই শুধু অভিযোগ ও মামলা হয়েছে পাঁচটি।

দিন-দুপুরে একের পর এক ছিনতাই ও চুরির ঘটনা ধরা পড়ছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। অপরাধীদের চেহারা শনাক্ত হলেও এখনও ধরা যায়নি। ফলে শহরবাসী রয়েছে আতঙ্কে।

শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিআইপাড়ার বাসিন্দা আয়সা ছিদ্দীকা জানান, চুরির উদ্দেশে ৪ দিন আগে তার বাসায় কয়েকজনের একটি দল হানা দিয়েছিল। তবে বাসায় লোকজন আছে টের পেয়ে সটকে পড়ে।

এরপরই তিনি সদর থানায় একটি অভিযোগ দেন।

একই পাড়ার আরেক বাসিন্দা ফেরদাউস হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পিরোজপুর শহরে সম্প্রতি বেড়েছে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। আমরা এর আগে এত ঘটনা ঘটতে শুনিনি। এখন পুলিশ কঠোর অবস্থায় না গেলে এর থেকে মুক্তি পাওয়া কষ্টকর।’

পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুস ছালাম বাতেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অপরাধীরা কয়েক দিন আগে থেকেই টার্গেট করে। তারপর তারা ছিনতাই ও চুরি করছে। তাদের মূল টার্গেট বিল্ডিংয়ের ফাঁকা বাড়ি ও রাস্তায় নিরীহ নারী। আমাদের আরও সাবধান হয়ে চলতে হবে। সমস্যা সমাধানে পুলিশকে আরও কৌশলী হতে হবে। তাহলেই এদের ধরা সম্ভব।’

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগের পর চক্রের অন্যতম একজনকে এরই মধ্যে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরও দ্রুত ধরা হবে।’

তিনি বলেন, ‘অপরাধ দমনে পৌর শহরে লাগানো হয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা। অপরাধীদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে। আমাদের ডিবি পুলিশসহ কয়েকটি টিম কাজ করছে।’

এ বিভাগের আরো খবর