বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেষ মুহূর্তে তুলির আঁচড় দিতে ব্যস্ত প্রতিমা শিল্পীরা

  •    
  • ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২০:১৯

দুর্গোৎসবকে ঘিরে নিরাপত্তার জোরদার ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শান্তিপূর্ণভাবে এই উৎসব শেষ করতে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। এরই মধ্যে মণ্ডপে মণ্ডপে বসানো হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। শনিবার থেকে মহাষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে শুরু হচ্ছে দুর্গাপূজা। শেষ মুহূর্তে তুলির আঁচড় দিতে ব্যস্ত প্রতিমা শিল্পীরা।

রাজধানীর পুরান ঢাকায় ইতোমধ্যে পূজার সব প্রস্তুতি শেষ করেছে উদযাপন কমিটি। যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সারা দেশে এ বছর ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে। শুধু রাজধানী ঢাকায় এ বছর ২৪১টি মণ্ডপে হবে দুর্গোৎসব। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পূজা হবে পুরান ঢাকায়। এর মধ্যে সূত্রাপুর থানায় ২৫টি, কোতোয়ালি থানার ২০টি ও বংশাল থানায় দুইটি পূজা হবে।

পুরান ঢাকার শাঁখারিবাজার, কালী মন্দির, নর্থব্রুক হল রোড, মহাকাল শিব বিগ্রহ, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজারসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় শতাধিক প্রতিমা শিল্পী গত একমাস নির্ঘুম সময় কাটিয়েছেন প্রতিমা তৈরিতে। এখন অপেক্ষা শুধু মণ্ডপে নিয়ে যাওয়ার। তবে কিছু জায়গায় এখনও তুলির শেষ আঁচড় চালাতে দেখা গেছে শিল্পীদের। খুঁটিয়ে দেখে নিচ্ছেন কোনো ত্রুটি রয়ে গেল কিনা।

শনিবার মহাষষ্ঠীতে হবে মায়ের চক্ষুদান। সনাতন সম্প্রদায়ের এই উৎসব ঘিরে রাজধানীর পুরান ঢাকায়ও এখন উৎসবের আমেজ। দুর্গাপূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে এখানকার মণ্ডপগুলো সাজানো হয়েছে নানা সাজে। করোনা মহামারির কারণে গত তিন বছর বড় পরিসরে আয়োজন না হলেও এ বছর তা কাটিয়ে দুর্গোৎসবকে ঘিরে পুরান ঢাকার মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে সাজ সাজ রব।

প্রতিমা শিল্পী মিন্টু চন্দ্র পাল বলেন, ‘দেড় মাস ধরে প্রতিমা তৈরি করেছি। গতকাল কাজ শেষ হয়েছে। অন্য বছরের চেয়ে এবার অর্ডার ভালোই পেয়েছি। বছরে এমনিতে ১৫-২০টি মূর্তি বানাই। এ বছর ৩৬টি বানিয়েছি। আগে একাই সব করতাম। এবার সঙ্গে দুজন সহকারীও নিয়েছি।’

দুর্গোৎসবকে ঘিরে নিরাপত্তার জোরদার ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শান্তিপূর্ণভাবে এই উৎসব শেষ করতে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। এরই মধ্যে মণ্ডপে মণ্ডপে বসানো হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

পুরান ঢাকার ১৩৬, শাঁখারীবাজারে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দুর্গাপূজার আয়োজন করে আসছে প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব। ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক ও কোতোয়ালি থানা পূজা কমিটির সহসভাপতি উৎপল কুমার ঘোষ শেখর নিউজবাংলাকে জানান, ‘এখানে ২০টি পূজা হবে। এবার আমাদের ভলান্টিয়ার থাকবে, সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে। নির্দেশনা আছে ব্যাগ বা বস্তা নিয়ে কেউ মণ্ডপে যেতে পারবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমরাও সচেষ্ট থাকব।’

নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে শতভাগ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোবাইল টিম এখন থেকেই কাজ করছে। আমরা পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের সঙ্গে মিটিং করে কিভাবে নির্বিঘ্নে আমরা পূজা শেষ করতে পারব সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

দুর্গাপূজায় মণ্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বংশাল থানার উপপরিদর্শক মো. শাহীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের সম্পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে। কাউন্সিলর ও পঞ্চায়েতের মাধ্যমে পূজা সমন্বয়ক কমিটি করা আছে। তারা সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করবে। আর ভলান্টিয়াররা তো আছেই। সিসিটিভি ক্যামেরাও রয়েছে।’

সূত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ মামুনুর রহমান বলেন, ‘দু ‘প্রতিটি মণ্ডপে আমাদের একজন অফিসার থাকবে। পূজা উদযাপন কমিটি ভলান্টিয়ার টিমসহ হিন্দু মুসলিম মিলে সম্প্রীতি টিম গঠন করা হয়েছে। মণ্ডপগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এবার প্রতিটি মণ্ডপে নির্দিষ্ট সংখ্যক আনসার সদস্যও থাকবে। একটি মণ্ডপের জন্য একজন পুলিশ অফিসার নির্ধারণ করা আছে এবং তার অধীনে পুলিশ টিম থাকবে।’

এ বিভাগের আরো খবর